বিশ্বনাথ ( সিলেট ) প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে চাচাতো বোনের সাথে প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহীক মিলনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্য হিরন মিয়াকে অবশেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এনিয়ে উপজেলার সর্বত্র তোলপাড়ের পাশাপাশি আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। হিরন মিয়া (৩২) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও বিএনপি নেতা।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে হিরন মিয়া তার চাচাতো বোন চাচাতো বোন ইদ্রিছ আলীর মেয়ে নিলুফা আক্তার ইয়াসমিন (১৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন। দীর্ঘ ৮বছর ধরে চলছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হওয়ায় প্রায়ই গোপানে মেলামেশা করতেন তারা। ধীরে ধীরে অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। অবশেষে চলতি বছরের ১৩ আগষ্ট হঠাৎ অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের দাবি নিয়ে কথা বলেন প্রেমিক হিরন মিয়ার সঙ্গে। হিরনের চাপে গর্ভপাত করে সে। কিন্তু হিরন মিয়া বারবার বিয়ের আশ্বাস দিলেও নানা অজুহাতে সময় পার করতে থাকেন।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান রিমা। এর পর মেম্বার আবারও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর মেম্বারের বসত ঘরে গিয়ে অনশন করতে তাকে প্রেমিকা নিলুফা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মেম্বারের ঘর থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। থানা পুলিশ চলে যাওয়ার পর মেম্বারের বড়ভাই চন্দন মিয়া (৩৪) ও পাশের ঘরের অপর চাচা রফিক মিয়ার পুত্র ফখরুল মিয়া (২৫) মারামারিতে জরিয়ে পড়েন।
এসময় অপরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’জনই আহত হন। বিয়ের দাবীতে অনশন করেও ফল না পেয়ে ইরনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে ফের থানার দারস্থ হয় রিমা। প্রেমিকা নিলুফা আক্তার ইয়াসমিন (১৯) এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দিবাগত রাত ১১টায় সিলেট থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেট কোর্টে তাকে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় বুধবার রাতে নিলুফা বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- (১৪) এবং মারামারির ঘটনায় হিরণ মিয়ার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আরেকটি মামলা দায়ের করেন ফখরুল মিয়ার ভাই ফাহিম। মামলা নং-(১৫)।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2xyoHMe
September 21, 2017 at 10:34PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন