কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ইংরেজিতে ফল বিপর্যয়ের কবলে পড়েছিল কুমিল্লা বোর্ড। কেননা এই বোর্ডে এক লাখ ৮২ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে এক লাখ ৮ হাজার ১শ ১১ জন। ফেল করেছে ৭৪ হাজার ৮ শ ৮৮ জন। শুধু গণিতে ফেল করেছে ৩৪ হাজার ৬৮৯ জন। আর ইংরেজিতে ফেল করেছে ২৫ হাজার ৬০৬ জন। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এ বিষয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ করলেও খাতা পুন:নিরীক্ষণের সুযোগ না থাকায় তাদের অনেককেই স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে দিতে হচ্ছে চরম মূল্য।
তবে শিক্ষকদের এমন ‘খামখেয়ালীপনা’র শিকার হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থী পূজা। সে ইংরেজী ১ম পত্রে ৩৩ নম্বর পেয়েছিল! এইচএসসিতে ইংরেজিতে সে ফল বিপর্যয়ের শিকার হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সে ইংরেজি বিভাগে পড়ার সুযোগ করে নিয়েছে।
এই সাফল্যের পর ফল বিপর্যয়ের কারণে তার জীবনে বয়ে যাওয়া ঝড় এবং দৃঢ়তার বিষয় উল্লেখ করে পূজার পিতা রতন কুমার মজুমদার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুমিল্লা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন এরকম ‘অপদার্থ, অযোগ্য, মস্তিষ্ক বিকৃত ইংরেজী শিক্ষককে যেন আর পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক করা না হয়।’ কেননা একজন শিক্ষার্থীর সারাজীবনের প্রচেষ্টা এ সমস্ত অযোগ্য ইংরেজী শিক্ষকের কারণে শেষ হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি।
এ বিষয়ে দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমার মেয়েটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খ ইউনিটে চান্স পেলো। কুমিল্লা বোর্ডের ইংরেজী পরীক্ষকের দায়িত্বে অবহেলা, খামখেয়ালীপনার কারণে তার উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে তা কাটিয়ে উঠে সে আবার নিজেকে প্রমাণ করলো। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল ইংরেজী সাহিত্য পড়বে। নিজেকে তৈরীও করেছিল সেভাবে। কিন্তু এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষকের খামখেয়ালীপনা তাকে বিপর্যস্ত করে তোলে। ইংরেজী ২য় পত্রে ৮০, ১ম পত্রে ৩৩ নম্বর। কি পরিমাণ আন্ডারমার্কিং হলে এমনটা হতে পারে আমার বোধগম্য নয়।
যেহেতু রি-এক্সামিনের কোন সুযোগ নেই তাই পরীক্ষকের খামখেয়ালীপনার কাছে তাকে হার মানতে হলো। সেদিনই সে বলেছিলো এর জবাব আমি দেবো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে। সে তাই করে দেখালো। ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজীতে ২৫ নম্বরের মধ্যে সে পেয়েছে ২১ নম্বর।
ওর অভিভাবক হিসেবে কুমিল্লা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী থাকবে এরকম অপদার্থ, অযোগ্য, মস্তিষ্ক বিকৃত ইংরেজী শিক্ষককে যেন আর পরীক্ষক বা প্রধান পরীক্ষক করা না হয়। সারাজীবনের একজন ছাত্র-ছাত্রীর প্রচেষ্টা এই সমস্ত অযোগ্য ইংরেজী শিক্ষকের কারণে শেষ হয়ে যেতে পারে। (ইংরেজী শিক্ষকদের সাতকাহন পরে লিখবো)।
তার জীবনের আরেকটি অধ্যায় শুরু হলো। কোলে-পিঠে করে ওকে গড়ে তুলেছি। পূজোর সময় জন্ম বলে তার নাম রেখেছিলাম পূজা। শুভ কামনা মামনি।’’
The post ইংরেজিতে ৩৩ পেয়েও চান্স পেল ঢাবির ইংরেজি বিভাগে! appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2wiRzog
September 26, 2017 at 08:04PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.