ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর- ফুটবল মাঠে দর্শক নেই বলে হাহাকার শোনা যায় অনেক। ক্রিকেটে দর্শক নিয়ে আর্তনাদটা কেউ টের পায় না। জাতীয় দলের খেলা বাদ দিলে ক্রিকেটেও দর্শক-খরা থাকে সব সময়ই। অনেকটা নিরুত্তাপেই বৃষ্টি-বাদলার চোখ রাঙানির মাঝে প্রায় খালি গ্যালারির সামনে অনুষ্ঠিত হয় দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। এবারও এর ব্যতিক্রম নেই। বৃষ্টি-হুমকির মুখেই শুরু হয়ে গেছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম পর্ব। তিনটি ম্যাচ হয়েছে; তিনটিই অমীমাংসিতভাবে শেষ হয়েছে বৃষ্টির কারণে। কিন্তু এ ম্যাচগুলোতেই নিজেদের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। প্রথম পর্বেই একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ দেখা মিলেছে সাত সেঞ্চুরির। জাতীয় দলের ওপেনিং জুটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তামিম ইকবালের একজন যোগ্য সঙ্গীর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ইমরুল কায়েসের পর এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে সৌম্য সরকারকে নিয়ে। শুরুটা ভালো হলেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজে ভালো করেননি সৌম্য। উল্টো দিকে জাতীয় লিগে ওপেনাররা সবাই আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। কক্সবাজারে চার দিনে খেলাই হয়েছে মাত্র ৯০ ওভার। এটুকু সময়েই নিজের কথা জানিয়ে দিয়েছেন রনি তালুকদার। স্থানীয় ক্রিকেটে রান তোলায় লিটন দাসের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আউট হওয়ার আগে করেছেন ১২১ রান। প্রথম শ্রেণির এই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যানকে টি-টোয়েন্টি খেলানো হলেও তাঁর শক্তির জায়গায় কখনো সুযোগ দেয়নি জাতীয় দল। ব্যাট দিয়েই সেই সিদ্ধান্তের জবাব দিয়ে যাচ্ছেন রনি। তাঁর সঙ্গী অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাইফ হাসান মূলত ওপেনার হলেও ঢাকা বিভাগের হয়ে নেমেছিলেন তিনে। তবে অবস্থান পরিবর্তন ফলেও কাজের কাজটা ঠিকই করেছেন সাইফ। খেলা থামার আগেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি (১০৬)। তবে উদ্বোধনী জুটির হিসেব করতে গেলে এনামুল হক ও রবিউল ইসলাম রবিকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। খুলনায় রংপুরের বিপক্ষে এই দুজন উদ্বোধনী জুটিতেই তুলেছেন আড়াই শ রান (২৫১)। ঠিক ১০০ রান করে রবি আউট হলেও এনামুলকে দুই শ (২১৬) পেরোনোর আগে থামানো যায়নি। এই দুই ওপেনারের আগেই অবশ্য রান বৃষ্টি দেখিয়েছে রংপুর বিভাগ। তবে সেটা মিডল অর্ডারে। অধিনায়ক নাইম ইসলাম (১৩৫) ও ধীমান ঘোষের (১০৫) সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী শুভর ৮৯ রানেই ৪৭১ রান তুলেছিল রংপুর। জাতীয় দলের মিডল অর্ডার নিয়ে চলমান নাটকের মাঝে একসময় জাতীয় দলে নামগুলোর এমন পারফরম্যান্স ভালো ইঙ্গিতই দিচ্ছে। জাতীয় দলে খেলার প্রসঙ্গ যখন এলই, মোহাম্মদ আশরাফুলের নামটাও উল্লেখ করতে হচ্ছে। চার বছর পর প্রথম শ্রেণিতে সেঞ্চুরি পেয়েছেন সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর হয়ে ১০৪ রান করেছেন প্রায় হারিয়ে বসা এ নাম। তবে হতাশ করেছেন নাসির হোসেন। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলে ফিরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেই আবার বাদ পড়েছেন এই অলরাউন্ডার। বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট পেলেও দুই ইনিংস মিলে করেছেন ঠিক পাঁচ রান। পেসারদের মধ্যে মাশরাফি বিন মুর্তজা (৪ উইকেট) ও আল আমিন হোসেনই (৫) ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। তবে প্রথম পর্বের সেরা খেলোয়াড় স্থানীয় ক্রিকেটের অতি পরিচিত মুখ ফরহাদ রেজা। ম্যাচের একমাত্র ফিফটি ও ৬ উইকেট নিয়ে রাজশাহীকে জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। আরএস/১০:১৪/২১ সেপ্টেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2yswFVB
September 21, 2017 at 05:09PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন