বিশ্বনাথে বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্যের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন : আহত ২

Photo-1-Biswanath-Sylhet-19.09.17মো. আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে এবার বিয়ের দাবিতে ইউপি সদস্য প্রেমিক ইরন মিয়ার (৩২) বাড়িতে অনশন পালন করেছেন নিলুফা বেগম (২২) নামের এক প্রেমিকা। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা অনশনের পর থানা পুলিশের এএসআই বিনয় কুমার চক্রবর্তী একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেন এবং প্রেমিকা নিলুফাকে ইরন মিয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করেন। পরে সকল প্রকার আইনী সহযোগীতা ও বিয়ের আশ্বাস দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ও নূর উদ্দিনসহ আরও গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতিতে নিলুফাকে থানায় নিয়ে যান। প্রেমিক ইরন মিয়া উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য ও পূর্ব পাড়া নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আস্তফা মিয়ার ছেলে। আর তার আপন চাচাতো বোন প্রেমিকা নিলুফা বেগম একই বাড়ির বাসিন্দা ও ইদ্রিছ আলীর মেয়ে।

এদিকে, অনশনের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর ২টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পরপরই ইরন মেম্বারের বড়ভাই যুবদল নেতা চন্দন মিয়া (৩৪) ও পাশের ঘরের রফিক মিয়ার ছেলে ফকরুল মিয়া (২৫) একে অপরের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’জনই আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চন্দন ও ফকরুলকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রেমিকা নিলুফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দীর্ঘ ৮বছর ধরে চলছে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। পাশাপাশি ঘরের বাসিন্দা হওয়ায় প্রায়ই গোপানে মেলামেশা করতেন তারা। ধীরে ধীরে অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মধ্যে। অবশেষে ২০১৭ সালের ১৩ আগষ্ট হঠাৎ অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের দাবি নিয়ে কথা বলেন প্রেমিক ইরন মিয়ার সঙ্গে। কিন্তু ইরন মিয়া বারবার বিয়ের আশ্বাস দিলেও নানা অজুহাতে সময় পার করতে থাকেন।

নিলুফার মা রিনা বেগম বলেন, আমি আমার মেয়েকে নিয়ে এখন বিপদের মধ্যে আছি। বিষপান করার পর আমার মেয়েকে নিয়ে এভাবে থানায় এসেছিলাম কিন্তু রফিক নামের পুলিশ অফিসার আমাদের উল্টো ধমক দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন। মিডিয়ার মাধ্যমে আমি এর বিচার চাই।

তবে প্রেমের বিষয়ে আংশিক সত্যতা স্বীকার করে প্রেমিক ইরন মিয়া বলেন, চাচার সঙ্গে বাড়ির জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় এক শ্রেনীর কুচক্রী মহলের নির্দেশে নিলুফা তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে চাইছে।

বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসোদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন এবং এএসআই বিনয় চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, মেয়েটির পক্ষ থেকে এজাহার দেয়া হলে যাতে ন্যায় বিচার পান তারা (পুলিশ) সেভাবেই কাজ করছেন।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2ybYosu

September 20, 2017 at 12:46AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top