সুুুরমা টাইমস ডেস্ক:: সিলেটে ছাত্রলীগের ‘গ্রুপিং’ দ্বন্দে লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। গতকালও (১৬ই অক্টোবর) আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নগরীর টিলাগড় এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওমর আলী মিয়াদ (২৬) নামে এক মেধাবী ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত ওমর আলী মিয়াদ সিলেটের শহরতলীর বালুচর এলাকার আকুল মিয়ার ছেলে। সে সিলেট এমসি কলেজে বিএসএস এবং লিডিং ইউনিভার্সিটিতে আইন বিষয়ের ছাত্র। এ সময় নাছিম ও তারেক নামে আরো দুই কর্মী আহত হয়েছেন।
এটি নিয়ে সিলেটে গত ৭ বছরে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্দে ৮ ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হলেন। যা খুবই বেদনাদায়ক।
কিন্ত্তু কেন এই হত্যাকান্ড? এই প্রশ্নের জবাবে সিলেটের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা স্থানীয় নেতাদের দায়ী করছেন। তারা বলছেন-স্থানীয় নেতারা তাদের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কোমলমতি এইসব ছাত্রদের দিয়ে ইচ্ছামতো গ্রুপ করছেন। সেই সাথে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডও চালাচ্ছেন। ক্যাম্পাসে অস্ত্রের ঝনঝনানি, প্রকাশ্য সশস্ত্র মহড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। যার ফলে ঐতিহ্যবাহী এই ছাত্র সংগঠনের অনেক মেধাবী তরুণ অকালেই ঝরে যাচ্ছে।
মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন- মাঠে প্রতিদ্বন্দি অন্য কোন ছাত্র সংগঠন না থাকায় ‘গ্রুপিং’ দ্বন্দটা মাথা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে। আগে দ্বন্দ হত ছাত্রদল-শিবিরের সাথে এখন তারা মাঠে নেই। তবে ছাত্রলীগ একটি বিশাল সংগঠন তাই এখানে ছোট খাটো দ্বন্দ থাকাটাই স্বাভাবিক।
এদিকে অভিভাবকরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলছেন, একটি ছেলেকে বিশ্ববিদ্যলয় পর্যন্ত পাঠাতে মা বাবাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। আর সে ছেলে যদি লাশ হয়ে ঘরে ফিরে তখন এর দায়ভার কে নেবে?
এ অবস্থার অবসান হওয়া জরুরি। প্রয়োজনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, এড. মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ,আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনসহ স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে একটা বৈঠক করে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে বলেও অনেকে মত দিয়েছেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2ytCjqN
October 17, 2017 at 10:16PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন