সুরমা টাইমস ডেস্ক:: জাগৃতি প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা ও সমকামীদের অধিকারবিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’ এর সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলায় কোনও প্রতিবেদন জমা পড়েনি। আজ মঙ্গলবার মামলা দুটিতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
তবে তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা কোনও প্রতিবেদন দাখিল না করায় দুই মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১শে নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট।
দীপন হত্যা মামলায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম নবী এবং জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার পরবর্তী একই দিন ধার্য করেন। দীপন হত্যা মামলাটি তদন্ত করছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান। জুলহাজ মান্নান ও দার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মমালাটি তদন্ত করছেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক বাহার উদ্দিন।
প্রকাশক দীপন হত্যা মামলা
২০১৫ সালের ৩১শে অক্টোবর বিকেলে ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ফয়সল আরেফিন দীপনকে।
ওইদিনই লালমাটিয়ায় আরেক প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে ঢুকে এর কর্ণধার আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই দুই প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছে, যিনি ওই বছরই একইভাবে খুন হন। ওই ঘটনায় দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি আনসার উল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য খায়রুল ইসলাম, আবদুস সবুর ও মঈনুল হাসান শামীম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেন।
বর্তমানে এরা কারাগারে রয়েছেন।
জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলা:-
গত ২৫শে এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগান লেক সার্কাসের লাল ফকিরের মাজার এলাকার ৩৫ নম্বর আছিয়া নিবাসের দ্বিতীয় তলায় খুন হন সমকামীদের অধিকারবিষয়ক পত্রিকা ‘রূপবান’র সম্পাদক জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়।
জুলহাস সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির খালাতো ভাই। তিনি মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল অফিসার ও ইউএস এইডে কর্মরত ছিলেন। মাহবুব রাব্বী তনয় ছিলেন জুলহাসের বন্ধু ও নাট্যকর্মী। এ ঘটনায় জুলহাসের বড় ভাই মিনহাজ মান্নান ইমন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে রাশিদুল নবী ও শরিফুল ইসলাম ওরফে শিহাব। কয়েক দফায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনও স্বীকারোক্তি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এরা।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2yN9OXe
October 25, 2017 at 12:26AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন