মুম্বাই, ২২ অক্টোবর- একজন ৫০ পেরিয়েও দেশের অন্যতম এলিজিবল ব্যাচেলার আর একজন বিয়ে করে স্বামী সন্তানের সঙ্গে সুখে জীবন কাটাচ্ছেন। তবে এক্কেবারে টাটকা তাঁদের পুরনো লাভস্টোরি আজও অনুগামীদের কাছে। আজও ভক্তরা চান, রুপোলি পর্দাতেই, তাঁদের যেন আবার একসঙ্গে দেখা যায়। হাম দিল দে চুকে সনম-এ তাঁদের কেমিস্ট্রি এখনও সিনেপ্রেমীদের নস্ট্যালজিক করে তোলে। এখনও এই জুটির বিচ্ছেদের আসল কাহিনি অনেকেরই অজানা। ঠিক ধরেছেন। কথা হচ্ছে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং সালমান খানের। অ্যাশ-সল্লুর ব্রেক-আপের অধ্যায় বলিউডে আজও যেন রহস্য হয়েই রয়ে গিয়েছে। সেই সময় শিরোনামে অবশ্য তাঁদের বিচ্ছেদের অনেক কারণই উঠে এসেছিল। কখনও শোনা গিয়েছিল, সালমানের আচরণ আর পছন্দ হচ্ছিল না প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরীর। প্রতিটি কাজে অ্যাশের উপর সালমানের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে নাকি অতীষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন নায়িকা। আবার শোনা যায়, প্রেমকাহিনিতে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিবেক ওবেরয়ের প্রবেশই ভাঙনের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কোনও বিষয়ই বিস্তারিত জানা যায়নি। এবার আরও কিছু তথ্য সামনে এল। বাবার অমতেই সল্লু মিঞার সঙ্গে সম্পর্কে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। কিন্তু শেষমেশ তা আর টেকেনি। আর তাঁদের ভাঙনের অন্যতম কারণ ঐশ্বরিয়ার বাবাই। দাবাং খান একবার স্বীকার করেছিলেন, ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে তিনি বেশ খারাপ ব্যবহার করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ঐশ্বরিয়ার বাবার সঙ্গে যে ব্যবহার করেছিলাম তা তাঁর একেবারেই পছন্দ হয়নি। স্বাভাবিকভাবে আমার বাবার সঙ্গেও এমন ব্যবহার আমি মেনে নিতাম না। তাই অ্যাশের বাবার আমাকে অপছন্দ করার যথেষ্ট যুক্তি ছিল। আমি সে বিষয়ে কোনও অভিযোগও করছি না। সেই বিষয়টি একেবারেই সহ্য করতে পারেননি সে সময়ের এক নম্বর নায়িকা। আর শুধু বাবাকেই নয়, বান্ধবী অ্যাশের সঙ্গেও একইরকম অপমান করতে শুরু করেছিলেন। যে বিষয়টি দিনের পর দিন মেনে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছিল তাঁর পক্ষে। আর তারপরই নাকি একটু একটু করে সালমানের থেকে দূরে সরতে থাকেন তিনি। বর্তমানে বচ্চন পরিবারের বউমা জানিয়েছিলেন, সালমানের খারাপ সময়েও ওর পাশে ছিলাম। কিন্তু মদ্যপ অবস্থায় ওর নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহার ক্রমেই বাড়তে থাকে। ভালবাসা দিয়েও উলটো দিক থেকে ছিটেফোঁটা ভালবাসাও পেতাম না। শারীরিক ও মানসিকভাবে আমায় অপমানিত হতে হয়েছে বারবার। নিজের সম্মান রক্ষা করতেই শেষমেশ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমি নিশ্চিত আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও এমনটাই করতেন। আর/১০:১৪/২২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2z03fBx
October 23, 2017 at 05:21AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন