আপন জুয়েলার্সের মালিকের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় রাজধানীর রমনা থানার মুদ্রা পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরআগে একই অভিযোগে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় দিলদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় রোববার।

মোজাম্মেল বলেন,আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহম্মেদ এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আজ তার হাইকোর্টের দেয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। তিনি জামিন নিতে না আসায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নাহার ইয়াসমিন রোববার গুলশান থানার দুই মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম ও তার ভাই আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

১২ই আগস্ট চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও হীরা জব্দের ঘটনায় এবং এ সব মূল্যবান ধাতু কর নথিতে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার দায়ে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে পাঁচটি মামলা দায়ের করে শুল্ক গোয়েন্দা।

এর মধ্যে গুলশান থানায় দুটি (মামলা নং- ১৫ ও ১৬), ধানমন্ডি থানায় একটি (মামলা নং- ১০), রমনা থানায় একটি (মামলা নং- ২৭) এবং উত্তরা থানায় একটি (মামলা নং- ১৭) ফৌজদারি মামলা করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দার পাঁচ সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা যথাক্রমে এম আর জামান বাঁধন, বিজয় কুমার রায়, মো. শাহরিয়ার মাহমুদ, মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ সব মামলা করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- আপন জুয়েলার্সের মালিকপক্ষের তিনজন যথাক্রমে দিলদার আহমেদ সেলিম, গুলজার আহমেদ এবং আজাদ আহমেদ।

আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণালঙ্কার মজুদের অভিযোগে কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ অনুযায়ী কাস্টম হাউস ঢাকায় আরও পাঁচটি কাস্টমস মামলা বিচারাধীন।

এ ছাড়া স্বর্ণালঙ্কার মজুদ, মেরামত, তৈরি, বিক্রয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংঘটিত ভ্যাট ফাঁকি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারেটগুলো কাজ করছে। আয়কর নথিতে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ দেখানোর কারণে সংশ্লিষ্ট আয়কর জোনের পক্ষ থেকেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত কয়েক সহযোগীকে নিয়ে একটি জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেন- এমন অভিযোগ ওঠার পর আলোচায় আসে আপন জুয়েলার্সের দুর্নীাতি। এরপরই মামলা দায়ের হতে থাকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zJRoog

October 24, 2017 at 12:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top