ময়নাগুড়িতে পরপর পাঁচটি অস্বাভাবিক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

ময়নাগুড়ি, ১৮ অক্টোবরঃ পরপর পাঁচটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল ময়নাগুড়িতে। আজ মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপ্টিবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গুয়াবাড়ির বাসিন্দা ৯ মাসের বৃষ্টি। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পুকুরের জলে ওই শিশুর দেহ ভাসতে দেখেন বাড়ির লোকেরা। সেখান থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান বাড়ির লোকেরা। তবে হাসপাতালের চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙামালি এলাকায়। আজ সকালে ওই এলাকার বাসিন্দা বিশ্বম্ভর রায়ের (২২) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। দিদির বিয়ের জন্য আড়াই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বিশ্বম্ভর। তবে সেই ঋণ শোধ করতে না পারায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের।

পদমতি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হেলাপাকড়ি গৌড় গ্রামের বাসিন্দা নীরেন্দ্র নাথ রায় (৩৮)। এদিন সকালে বাড়ির পাশে একটি গাছ থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।

ময়নাগুড়ি বেংকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু মণ্ডল (৫৩)। গতকাল রাতে হঠাত্ই তিনি শারীরীকভাবে অসুস্থতা বোধ করেন বলে পরিবার সূত্রে খবর। পরিবারের লোকেরা সেই সময় তাঁকে চিকিত্সার জন্য ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে, রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পানবাড়ির ঝাড় বড়ো গিলার বাসিন্দা কালীপ মুন্ডার (১৭) অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে খবর, বাড়িতে মজুত রাখা কীটনাশক খেয়েছিলেন তিনি। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাগুড়িতে পাঁচটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সমস্ত ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

ছবি ও সংবাদদাতাঃ বাণীব্রত চক্রবর্তী



from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2kYnEke

October 18, 2017 at 06:18PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top