রায়গঞ্জ, ২৭ আগস্টঃ ফেসবুকে আলাপ। তারপর প্রেম করে বিয়ে। কিন্তু বিপত্তি বাধে তার পর থেকেই। বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার দাবিতে দেড় বছর ধরে লাগাতার অত্যাচার করা হত স্ত্রীকে। অবশেষে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের বিরুদ্ধে। রায়গঞ্জ থানার বারোদুয়ারী এলাকার ঘটনা।
মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, বর্ধমানের দক্ষিণ শ্রীরামপুরের দিশা দেবনাথের সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয়েছিল রায়গঞ্জ থানার সাহাপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার আনন্দ রায়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকার জন্য লাগাতার অত্যাচার করা হত দিশাকে। বৃহস্পতিবার দিশার বাড়ি থেকে অনেকবার ফোন করলেও ফোন ধরেনি সে। আনন্দকে ফোন করলেও সে তাঁর ডিউটিতে থাকার কথা জানিয়েছে। এরপর আনন্দই জানায় দিশার আত্মহত্যার কথা। খবর পেয়ে রায়গঞ্জে আসে দিশার বাপের বাড়ির লোকজন। মেয়ের মাথায় রক্ত জমার দাগ দেখে মা দীপা দেবনাথের দাবি, মেয়েকে মারধোর করা হত। রায়গঞ্জ থানায় আনন্দ সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের লিখিত অভিযোগ করেছে মেয়ের মা দীপা দেবী। পুলিশ সুপার শ্যাম সিং বলেন, চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে রায়গঞ্জ থানায়। আনন্দ রায় ও তাঁর পরিবারের লোকজন পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আনন্দ রায় পুলিশ সুপার অফিসে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে কর্মরত।
সংবাদদাতাঃ বিশ্বজিৎ সরকার
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2zKnrnt
October 27, 2017 at 09:21PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন