দীর্ঘ প্রতিক্ষীত মৌলভীবাজার জেলা আ’লীগের সম্মেলন আগামীকাল

নিজস্ব প্রতিনিধি ::
গত ১১ বছর ধরে সিলেটের মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে যখন অনেকটা হতাশা বিরাজ করছিল, ঠিক তখনই উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। দেরিতে হলেও আগামীকাল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত সেই সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই পদ প্রত্যাশীরা দৌড়ঝাঁপ শেষ করেছেন ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা কারা হবেন দলের কান্ডারি।

দ্বিধাবিভক্ত সংগঠনের জেলা ও তৃণমূল থেকে বারবার সম্মেলন দাবি তোলা হলে দলের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ২০ মে তারিখ ঘোষণা করলেও রমজান মাসের কারণে তা পেছানো হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে জোর লবিং করছেন বলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন বর্তমান সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ, সংসদ সদস্য ও দলের সহসভাপতি সৈয়দা শায়রা মহসীন, সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ, সহসভাপতি মো. ফিরোজ, সৈয়দ বজলুল করিম, সহসভাপতি মুহিবুর রহমান তরফদার।

সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল, জেলা আ.লীগের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক তরফদার (ভিপি শোয়েব) পৌর মেয়র ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি মো. ফজলুর রহমান শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ২৭শে জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় ২০১০ সালের শেষ দিকে। ত্রিবার্ষিক কমিটিতে ১১ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চলছিল। বিভক্তি সম্মেলন কেন্দ্রিক দ্বন্দ্বে অভ্যন্তরীণ গ্রুপিংয়ে জেলা আওয়ামী লীগ দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে দলীয় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সম্প্রতি দুই গ্রুপের নেতাদের নিয়ে ঢাকায় বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে দলটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে উভয় গ্রুপের নেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়, সব সাংগঠনিক থানার সম্মেলন শেষ করে ২০শে মে জেলা সম্মেলন সম্পন্ন করার জন্য। এ নির্দেশনা সামনে রেখে উভয় গ্রুপের নেতারা গত ২৪শে মার্চ বর্ধিত সভা করে সব সাংগঠনিক থানার সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করে। এর পর কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, থানা সম্মেলন স্থগিত করে নির্ধারিত তারিখে জেলা সম্মেলন কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য। জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ২০শে ডিসেম্বর ও ২০১৬ সালের ২৫শে ডিসেম্বরের মধ্যে কেন্দ্র থেকে সম্মেলন সম্পন্ন করার তাগিদ দেয়া হয়।

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নেছার আহমদ বলেন, সম্মেলন আয়োজনে নানা জটিলতায় তা বিলম্ব হয়। বিশেষ করে ২০১৪ সালের নির্বাচন-পূর্ববর্তী জামায়াত ও বিএনপির সহিংসতাসহ বিভিন্ন কারণে সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে জেলা আ.লীগের সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালিক তরফদার (ভিপি শোয়েব) বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্নপ্রায়। সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে গতি আরও বৃদ্ধি পাবে; যা নির্বাচনে কাজে লাগবে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zJ2DfL

October 27, 2017 at 09:11PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top