কুমিল্লার বার্তা ডেস্ক ● ১৪ দফা দাবি পূরণ না হলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফকে দপ্তরে ঢুকতে দেবে না শিক্ষক সমিতি। রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষকনেতারা তাঁদের দাবি পেশ করেন। সোমবার দুপুরের মধ্যে দাবিগুলো পূরণের সময়সীমাও বেঁধে দেন শিক্ষকনেতারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আবারও ঘোলাটে হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শিক্ষক সমিতির ১৪ দফা দাবির মধ্যে আছে উপাচার্যকে দেওয়া বাড়তি ভাতা বিশ্ববিদ্যালয় কোষাগারে ফেরত দেওয়া, সন্ধ্যাকালীন এমবিএ কোর্সের টাকা ফেরত, প্রক্টরের পদত্যাগ, অবৈধ নিয়োগ-বাণিজ্য বন্ধ করা, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিচার, সাত শিক্ষকের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রত্যাহার, স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বন্যাদুর্গতদের জন্য শিক্ষকদের এক দিনের বেতন–ভাতা প্রদানকারীদের শাস্তি, রেললাইনে নাশকতার মামলার আসামিকে চাকরি থেকে অব্যাহতি, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ও ১৭ মার্চ শিক্ষক সমিতির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে প্রক্টর বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) বিভাগের পরিচালকের অসদাচরণের বিচার, উপাচার্যের অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার রোধ, ছাত্র হত্যার বিচার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা ও নিম্নমানের আসবাব ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত কাজে কুমিল্লার বাইরে আছি। নিয়ম ও বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।’
রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়া উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী প্রমুখ।
জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, গত চার বছরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের অনিয়ম করেছেন। এসব অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান সর্বত্র ক্ষুণ্ন হওয়ার পথে। সোমবার দুপুরের মধ্যে উপাচার্যকে ১৪ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় তাঁকে নিজ দপ্তরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
উপাচার্যের নানা অনিয়ম নিয়ে গতকাল প্রথম আলোতে ‘পদে পদে উপাচার্যের অনিয়ম!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকনেতারা আমার কাছে এসে ১৪ দফা দাবি দেন। এসব দাবির বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। আজ দুপুরের মধ্যে দাবি পূরণের সময়সীমা বেঁধে দেন তাঁরা। বিষয়টি উপাচার্যকে জানানো হয়েছে।’
The post উপাচার্যের দুর্নীতি: কুবিতে উত্তেজনা appeared first on Comillar Barta.
from Comillar Barta http://ift.tt/2zb3O7L
October 16, 2017 at 01:24PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন