নিজস্ব প্রতিনিধি:: কানাইঘাট চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন কর্তৃক স্কুলের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগটি সত্য হলে তদন্ত পূর্বক শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল। জানা যায়, স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ঐ ছাত্রী সহ আরো একজন ছাত্রী গত দু’মাস থেকে শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনের কাছে স্কুলের ক্লাস শেষে প্রাইভেট পড়ত। বিনা পয়সায় প্রাইভেট পড়ানোর আশ্বাস দিয়ে দরিদ্র পরিবারের এই ছাত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন। একপর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে গত বৃহস্পতিবার বিকেল আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানার কার্যালয়ে হাজির হয়ে ধর্ষিতা ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনাটির বর্ণনা করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা ছাত্রীর জবানবন্দী শুনে বলেন, উভয়ের সম্মতিতে ও মেয়েটির সচেতনতার অভাবে শিক্ষক এ সুযোগ নিয়েছে। বিষয়টি কতটুকু সত্য আমি জানি না, তারপরেও শিক্ষার্থীদের আরো সচেতন হতে হবে। তদন্ত পূর্বক শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন এ ঘটনার জন্য দায়ী থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে যথাযথ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে শিক্ষক কর্তৃক ধর্ষিতা অষ্টম শ্রেণির ঐ ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই জানিয়েছেন, চরিপাড়া স্কুল এন্ড কলেজ কানাইঘাটে একটি স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে মাঝে মধ্যে কিছু জঘণ্য ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। ছাত্রীরা যৌন নির্যাতনের স্বীকার হন। স্কুলের শিক্ষকরা এসব ঘটনা প্রতিরোধে কোন ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্কুলের সহকারী শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের সর্বশেষ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ধরে রাখার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের এ ব্যাপারে কঠোর সিন্ধান্ত নিতে হবে। নানা প্রলোভন দেখিয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে বার বার অবৈধ সম্পর্কের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ইসলাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মান সম্মান ক্ষুন্ন করার একটি কু-চক্রী মহল ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আমার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের যে অভিযোগ তুলেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি ঐ ঘটনার সাথে কোন ভাবে জড়িত নয় দাবী করে বলেন, এই মেয়েটির সম্পর্ক অন্য ছেলের সাথে রয়েছে। আমার জানামতে মেয়ের বড় ভাই ও নিকটাত্মীয়রা মিলে জোরপূর্বক ভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিতে তাকে বাধ্য করেছে। ঐ ছাত্রীর বড় ভাই জানিয়েছেন, শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন তার সহজ সরল কিশোরী বোনের সরলতার সুযোগ নিয়ে বার বার তার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন। স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনাটি জানে। ইসলাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পূর্বে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য তার বোন আইনের আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানান।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2yiel44
October 14, 2017 at 09:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন