নিজস্ব প্রতিনিধি:: মহান স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় হত্যা,লুটপাট,ধর্ষণসহ মানবতা বিরোধী অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছেন তাহিরপুর সদর উপজেলার উজান তাহিরপুর গ্রামের মৃত. মাইন উদ্দিনের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ঢাকা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে প্রেরণ করার আদেশ দিয়েছেন।
এই মামলায় তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মৃত. সফর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৬১) এবং মৃত. আব্দুল জব্বারের ছেলে আফাজ উদ্দিন (৭০) কে আসামী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামী শফিকুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পরিবারের সন্তন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আসামীর পরিবার এলাকায় লুটপাট, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতা বিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল। আসামীর বাবা সফর আলী সশস্ত্র রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। আসামীর আপন বড় ভাই নুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই কুরবান আলী, আসামী আফাজ উদ্দিন ও ফুফাতো ভাই কাজী মিয়া রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম তার পিতা ও ভাইদের সাথে মানবতা বিরোধী অপরাধে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট সকালে মধ্য তাহিরপুর গ্রামের ইসমাইল আলী, সাহানুর মিয়া, চান মিয়া, ইছব আলী এবং উজান তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল বারিক মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাড়ি থেকে গাঙ্গুলি বাড়ির সামনে আসলে পাকিস্তানী বাহিনী তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু অভিযুক্ত শফিকুল এবং তার পিতা মৃত. রাজাকার নুরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই মৃত. কুরবান আলী, অভিযুক্ত আফাজ উদ্দিন পাকিস্তনী সেনাদের দিয়ে আবার তাদের ধরে নিয়ে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। অপরদিকে একই সময়ে ১৯৭১ সালের ২৫শে আগস্ট সকালে মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবুল কাশেম পাকিস্তনী বাহিনীর সাথে যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম ও আফাজ উদ্দিন সহ রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধা কাশেমকে টেনে হিছড়ে তহসিল অফিসের সামনে নিয়ে দা দিয়ে কেটে হত্যা করে।
আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যার্থে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2g5PrtT
October 12, 2017 at 10:40PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন