নিজস্ব প্রতিনিধি:: সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ক্যান্সারে আক্রান্ত এক কিশোরীর লাশ দাফন ও কবর থেকে উত্তোলন নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটা থেকে ফুলবাড়ি পূর্ব ও উত্তরপাড়া গ্রমের লোকজনের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়।
এ সংঘর্ষে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা মেয়র সিরাজুল জব্বার ও গোলাপগঞ্জ থানার ওসি শিবলী, এসআই আবু তাহের, এসআই শংকরসহ অর্ধশত লোক আহত হয়েছেন। তাছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের পক্ষ থেকে ৬০ থেকে ৭০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করা হয়। অপরদিকে সংঘর্ষ চলাকালিন দুপুর দুইটা থেকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সড়ক অবরোধ রেখেছে স্থানিয় জনতা।পরিস্তি নিয়ন্ত্রণ করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের কাল্যাম মিয়ার মেয়ে ফারজানা বেগম(১৪)। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যু বরণ করেন। তাকে ঐ দিন যোহরের নামাজের পর তার লাশ দাফন করা হয় ফুলবাড়ির পঞ্চায়েতি কবরস্থান বড় মোকামে। কিন্তু ঐ কবরস্থান নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে ফুলবাড়ি পূর্বপাড়া ও উত্তর পাড়ার মধ্যে। সেই বিরোধের জের ধরে দাফনের পর কবর থেকে রাশ উত্তোলন করে পূর্বপাড়া গ্রামের লোকজন। উত্তরপাড়ার লোকজন লাশ দাফনের কারণ জানতে চান পূর্ব পাড়ার লোকজনদের কাছে। এসময় পূর্বপাড়া ও উত্তরপাড়ার জামে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় সংঘর্ষ ও উভয় পক্ষ থেকে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ। এ ঘটনায় সিলেট-জকিগঞ্জ মহাসড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় যোগাযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ও গোলাপগঞ্জ পৌরসভা মেয়র সিরাজুল জব্বার ঘটনাস্থলে পৌছালে উভয় পক্ষের দাঙ্গা থামাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন মেয়র। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রায় ৬০ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যে কোন ধরণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যপারে গোলাপগঞ্জ পৌরসভা মেয়র সিরাজুল জব্বার জানান, তিনি সংর্ঘষের খবর পেয়ে ফুলবাড়ি এলাকায় যান। সেখানে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে তিনি ইট-পাটকেলের ছোড়া ঢিলে নাকে আঘাত পেয়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম ফজলুল হক শিবলী জানান, লাশ দাফন নিয়ে উপজেলার ফুলবাড়ি পূর্ব ও উত্তরপাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আমি নিজে পুলিশের এসআই ও পৌর মেয়র সহ অর্ধশত আহত হয়েছেন। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2xUiMSv
October 05, 2017 at 10:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন