নিজস্ব প্রতিবেদক ● দেশের প্রধান জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ব্যস্ততম এই মহাসড়কে প্রতিদিন চলাচল করছে কমপক্ষে ২২ হাজারেরও বেশী বিভিন্ন শ্রেনীর যানবাহন। সম্প্রতি মহাসড়কে সর্বনিন্ম ৬০ কিলোমিটার বেগে গাড়ি চালানোর বিষয়টিও আলোচনায়। কিন্তু মহাসড়কটির কুমিল্লা অংশের প্রায় পুরোটা জুড়ে চলছে লক্কর-ঝক্কর মার্কা অল্প গতির অসংখ্য যানবাহন। ফলে দ্রুতগতির যানবাহন চালকরা চাইলেই পারছেনা গাড়ির গতি নিযন্ত্রণে রাখতে।
পাশাপাশি বর্তমানে মহাসড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ছোট-বড় প্রায় অধিকাংশ যানবাহন চালকরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখতে গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে। বেশ কয়েকটিস্থানে সওজ কর্তৃপক্ষ ইট দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখলেও কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় ব্যস্ততম ফোরলেন কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী অংশের কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে চালকরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে। বিপুল অংকের টাকায় মহাসড়কটির উদ্বোধনের স্বল্প সময়ে খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় কাজের মান নিয়েও যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ।
সরেজমিন ঘুরে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের পাইপ লাইন খ্যাত জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে দ্রুততম সময়ে যাতায়াতের লক্ষ্যে নির্মিত মহাসড়কটি উদ্বোধনের পর থেকেই কোথাও না কোথাও পাথর উঠে যাওয়ায় বিগত কয়েক মাস ধরে প্রায়ই সংস্কার কাজ করতে দেখা গেছে। কিন্তু কোন মতেই সেই সংস্কার দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছেনা।
ফলে বিপুল টাকা ব্যয়ে নির্মিত মহাসড়কটির পদুয়ারবাজার,ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করে যানবাহন চালানো স্বাভাবিক রাখছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল একাধিক সুত্র জানায়, জাতীয় প্রধান এই মহাসড়কটি নির্মানে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করলেও নিন্মমানের কাজের কারণে স্বল্প সময়েই বিভিন্নস্থানে খানা-খন্দকের সৃষ্টি হচ্ছে। আর কর্তৃপক্ষ কখনো পাথর কখনোবা ইট দিয়ে মেরামত করে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছে।
মমিনুল হক নামের এক ট্রেইলার চালক বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত অংশে অবাধে চলছে নসিমন, ভটভটি, ট্রাক্টর, লক্কর-ঝক্কর মার্কা মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার। এসকল গাড়ির গতি কম থাকায় আমাকে কম গতিতে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
এছাড়াও পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড এলাকায় ওভারপাসের নিচের অংশটি খানা-খন্দকে ভরে গেছে। ইট দিয়ে সেগুলো ভরাট করে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে সওজ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কুমিল্লা-ঢাকা-কুমিল্লাগামী বিলাস বহুল এশিয়া লাইন ও তিশা সার্ভিস সহ স্বল্প দুরত্বে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের একাধিক চালক ও যাত্রীরা জানান, মহাসড়কের কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর মিয়ামি হোটেলের দক্ষিণ পার্শ্বে ঢাকাগামী অংশে বেশ কিছুদিন আগে কয়েকটি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে চলাচলকারী দ্রুতগতির যানবাহনসমূহকে দূর্ঘটনা এড়াতে বাধ্য হয়েই গাড়ির গতি কমাতে হচ্ছে।
প্রতিদিন কুমিল্লার শাসনগাছা থেকে ময়নামতি-চান্দিনাসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী মারুতি (ছোট আকারের মাইক্রোবাস) সহ দ্রুতগতির প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এ গর্তে পরে নিয়ন্ত্রণ হারাবার উপক্রম হচ্ছে। ফলে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে লাইফ লাইন খ্যাত জাতীয় প্রধান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে চলাচলকারী যানবাহন চালক ও যাত্রীরা।
The post ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খানা-খন্দক,ইট দিয়ে জোড়াতালি appeared first on Comillar Barta | দেশ সেরা আঞ্চলিক অনলাইন পত্রিকা.
from Comillar Barta | দেশ সেরা আঞ্চলিক অনলাইন পত্রিকা http://ift.tt/2yLOxgD
October 23, 2017 at 06:54PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.