ঢাকা, ৩০ অক্টোবর- শাকিব খান ও এর সঙ্গে পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস সম্প্রতি রাজনীতি ছবিতে অভিনয় করে বিপদেই পড়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে নায়ক শাকিব খান ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ছবিটিতে এক সংলাপে একটি মোবাইল নম্বর বলেন শাকিব খান এবং ঘটনাচক্রে সেটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার রাজমিস্ত্রি ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বর। এর ফলে ছবিটি মুক্তির পর পরই তাই বিড়ম্বনার শিকার হয়ে আসছিলেন ইজাজুল মিয়া। এই মাত্রা এতোটাই বেড়ে যায় যে শেষ পর্যন্ত ইজাজুল মিয়া রোববার (২৯ অক্টোবর) হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে ছবিটির প্রযোজক আশফাক আহমেদ ও পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস এবং চিত্রনায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে অবশ্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর ইজাজুল প্রযোজক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ বিষয়ে নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে সে কলকাতায় চালবাজ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত আছে। তবুও তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাইনা। কারণ শিল্পী হিসেবে আমি শুধুমাত্র চিত্রনাট্যের সংলাপ বলেছি। আমি দেশে এসে এই বিষয় নিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকের সঙ্গে কথা বলব। সোমবার (৩০ অক্টোবর) রাতেই আমি ঢাকায় ফিরছি। বিষয়টি নিয়ে ছবির পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস বলেন, এটি আসলে খুবই দুঃখজনক। কারণ আমি যখন এই নম্বরটা দিয়েছিলাম, তখন এই নম্বরটি বন্ধ ছিল। আর বন্ধ দেখেই আসলে এই নম্বর ব্যবহার করেছিলাম। এমন একটা ঘটনা ঘটবে তা বুঝতে পারিনি। মামলার বিষয়ে বুলবুল বিশ্বাস আরো বলেন, আমি শুনেছি মামলা হয়েছে কিন্তু আমার হাতে এখনো কোনো কাগজপত্র আসেনি। আমি এখন কাগজের জন্য অপেক্ষা করছি। কাগজ হাতে পেলেই আমার আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করব। আলোচনা করেই আমি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। এর আগে, ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় রাজনীতি ছবিটি। সিনেমাটির একটি দৃশ্যে নায়ক শাকিব খান নায়িকা অপু বিশ্বাসকে একটি মুঠোফোন নম্বর বলে। আর ওই নম্বরটিই ইজাজুল মিয়ার মোবাইল নম্বরের সঙ্গে মিলে যায়। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পর শাকিব খানের মুঠোফোন নম্বর মনে করে অসংখ্য নারী-পুরুষ ইজাজুল মিয়াকে ফোন করতে থাকে। দেশ-বিদেশ থেকে শাকিব ভক্তদের আসা এসব ফোনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন ইজাজুল। ইজাজুল মিয়া এ বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, এটি তার স্ত্রীকে কিছুতেই বোঝানো যায়নি। নিজেকে নায়ক শাকিব খান পরিচয় দিয়ে পরনারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার অভিযোগ এনে স্ত্রী মিশু আক্তার বাপের বাড়িতে চলে গেছে ১৭ মাস বয়সী একমাত্র শিশুকন্যা ইমুকে নিয়ে। অবশেষে রাজনীতি ছবিটি দেখে স্ত্রী মিশুর ভুল বুঝতে পারে। সূত্র: বিডি২৪লাইভ আর/১৭:১৪/৩০ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lspUjP
October 30, 2017 at 11:37PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top