সুরমা টাইমস ডেস্ক:: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) হারিয়ে যাওয়া তিনটি অব্যবহৃত গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশ ডাম্পিং স্টেশনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘করপোরেশনের অস্থায়ী ভবনের পাশ থেকে অব্যবহৃত গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশ পরিচ্ছন্ন কর্মীরা আমার নির্দেশে সরিয়ে ডাম্পিং স্টেশনে রাখেছে।’
গতকাল শনিবার (১১ই নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১১টায় করপোরেশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র আরিফ বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অব্যবহৃত তিনটি গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যাচ্ছে না বলে আমাকে যান্ত্রিক শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী জাবেরুল ইসলাম জানান। পরে আমি তাকে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করার নির্দেশ দেই।’
ডাম্পিং স্টেশনে তিনটি গাড়ির যন্ত্রাংশ আছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা দেখবে তদন্ত কমিটি। এখানে কোন কোন গাড়ি আছে, আর কী ধরণের যন্ত্রাংশ রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোট অথরিটির (বিআরটিএ) ২০১৬ সালের ১৮ই মে সরকারি যানবাহন ও কনডেমনেশন শাখা হারিয়ে যাওয়া তিনটি অব্যবহৃত গাড়ির সার্বিক বিশ্লেষণ করে করপোরেশনকে রিপোর্ট দেয়। ওই রিপোর্টে, পিকআপ (সিলেট ঘ-০২-০০৪৮) এর আনুমানিক বিক্রয় মূল্য ধরা হয় ৮ হাজার টাকা। গাড়িটি যদি মেরামত করা হয় তাহলে প্রয়োজন ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং মেরামতের পর বিক্রি করা যাবে তিন লাখ টাকা। অ্যাম্বুলেন্সের (সিলেট-ব-৬১৪৮)আনুমানিক মূল্য ধরা হয় ১৫ হাজার টাকা। মেরামত করতে হলে প্রয়োজন চার লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মেরামত করার পর এ পিকআপটি বিক্রি করা যাবে ৭০ হাজার টাকায় এবং মিনি ট্রাকের ( সিলেট ট- ৫৪১০) আনুমানিক বিক্রয় মূল্য ধরা হয় ২০ হাজার টাকা। ট্রাকটি মেরামত করতে হলে প্রয়োজন ৭ লাখ টাকা এবং মেরামত করার পর পিকআপটি বিক্রি করা যাবে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকায়।’
বিআরটিএর রিপোর্ট সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আসলে এ বিষয়টি আমার কাছেও সন্দেহজনক মনে হয়। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখার জন্য কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। তাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে।’
জানা গেছে- সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ের (পীর হাবিবুর রহমান পাঠাগার) দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে রাখা৩টি অব্যবহৃত গাড়ি গত ২৬শে সেপ্টেম্বর গায়েব হয়ে যায়। এ ঘটনার ২৭ দিন পর গত ২৪শে অক্টোবর কোতোয়ালি থানার নিখোঁজ ডায়রি (নং-১৯৪৯) করেন করপোরেশনের পরিবহন শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জাবেরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী এনামুল হাবীব, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজ, কাউন্সিলর এবিএম জিল্লুর রহমান উজ্জল, আব্দুর রকিব তুহিন, সোহেল আহমদ রিপন, আব্দুল মুহিত জাবেদ, সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিন, তৌফিকুল হাদী, শান্তনু দত্ত, আবজাদ হোসেন আমজাদ, মহিলা কাউন্সিলর সালেহা কবীর শেপী, রোকশানা বেগম শাহনাজ প্রমুখ ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2iRYzmD
November 12, 2017 at 09:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন