নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভা ছিলো শুক্রবার বিকালে ।এই সভায় মূলত জেল হত্যা দিবস নিয়ে আলোচনা করার কথা। কিন্তু এই সভায় প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বিপিএল খেলাকে! জেল হত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বিপিএল টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ জানান সভামঞ্চে থাকা সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে। এরই প্রেক্ষিতে আগামীকাল থেকে সিলেটে শুরু হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি-২০ ‘বয়কটের’ আহবান জানান সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী।
নেতাকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী তার বক্তব্যের সময় বলেন- ‘আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মী বিপিএল উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। টিকেট পাননি। তাই আমি বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কটের আহবান জানাচ্ছি।’ তার এই আহ্বানের সাথে সাথে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাকে উচ্চস্বরে সমর্থন জানান।
আলোচনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে জাতীয় নেতৃবৃন্দের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে হবে। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ও শোষণমুক্ত সমাজের আকাঙ্খায় ১৯৭১ এ বাংলাদেশের অভ্যূদ্বয় হয়। বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণ ঐক্যের ভিত্তিতে ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা অভিযাত্রাকে রুখে দিতে ১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে প্রথম আঘাত এনে ইতিহাসের চাকা পেছনে ঠেলে দেয়। মুক্তিযোদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে গড়ে উঠা বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদ পতিত ভাবধারা পরাজিত আদর্শের পালে চালিত করতে ১৯৭৫ এর ৩রা নভেম্ব জেল খানায় বন্দীরত জাতীয় চার নেতা তাজ উদ্দিন আহমদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামান, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। মুক্তিযোদ্ধের ধারার উপর দ্বিতীয় আঘাত আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল অগনতান্ত্রিক শক্তিকে রুখে দিতে জনগণের সুদৃঢ় রাজনৈতিক গড়ে তুলতে হবে। জনগণের আশা আকাঙ্খার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় চার নেতা সহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানান- ‘শফিকুর রহমান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যকালীন সময়ে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন আমাদের দল ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতাকর্মী বিপিএল’র টিকেট পাননি। তাই আমি বিপিএল’র উদ্বোধনী আয়োজন দেখতে না যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরাও তাকে সমর্থন দেন। আমরাও সমর্থন দিয়েছি।’
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান আরোও বলেন- ‘টিকেট বিক্রিতে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছে। সিলেটের ক্রীড়াপ্রেমীরা টিকেট পাননি। যথাযথ নিয়মে টিকেট বিক্রি হলে হয়তো কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতো না। জানিনা কি কারণে এমনটি ঘটলো। আমি ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মানুষ নই। যারা এর সাথে জড়িত তারাই ভালো বলতে পারবেন।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. লুৎফুর রহমান। আওয়ামী লীগ নেতা এড শাহ ফরিদ আহমদ, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, হুমায়ুন ইসলাম কামাল, সাইফুল আলম রুহেল, রইছ আলী, এমাদ উদ্দিন মানিক, এড খোকন কুমার দত্ত, তপন মিত্র, এ আর সেলিম, মোমিন চৌধুরী, এড. আজমল আলী, এড. বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, আলী, সামসুন্নাহার মিনু, শামীম রশীদ চৌধুরী, ডা. নাজরা চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য এ জেড রওশন জেবিন রুবা, মানিক মিয়া, মহসিন কামরান, শেখ আজাদ, জাহিদ সরওয়ার সবুজ, জালাল উদ্দিন কয়েছ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ, সাবেক সহ-সভাপতি রশিদুল ইসলাম রাশেদ, সোহেল আহমদ মুন্না, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম তুষার প্রমুখ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zhK7hx
November 03, 2017 at 08:20PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন