সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার


সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃ: পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমছেই না। সিলেটে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় দিগুণ। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম। এছাড়া শীতকালীন সবজি বাজারে এলেও দাম বেশ চড়া। ফলে ক্রেতা সাধারণের নাগালের বাইরে রয়েছে শীতকালীন সবজি। এদিকে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কিছুটা কমেছে আদার দাম। নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যের লাগামহীন দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ।

নগরীর বন্দরবাজার কাঁচাবাজার, আম্বরখানা, রিকাবিবাজার ও মদিনা মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে সিলেটের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এক সপ্তাহে বেড়ে দাড়িয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি আদার দাম ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। এ সপ্তাহে কিছুটা কমে দাড়িয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। পেয়াজ ও আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আদা ও পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। পেঁয়াজের আমদানিতে ভাটা পড়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। এছাড়া টানা বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ক্ষতি হয়েছে দেশীয় পেঁয়াজের চাষ। ফলে পেয়াজের দাম উর্ধ্বমূখী।

অন্যদিকে সবজির বাজারেও আগুন। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, সিম ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুল কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, চিচিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ টাকা, গাঁজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, নতুন আলু ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১১০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া দেশি রসুন কেজি প্রতি ৮৫ টাকা, আমদানি করা রসুন ৯৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা, আমদানি করা ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে নাজিরশাইল ছাড়া বাকি সব চালের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ৬৭ টাকা থেকে ৩ টাকা বেড়ে গিয়ে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। চালের বাজারে দামে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। প্রতিকজি মিনেকেট ৬০ টাকা, বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণা ও পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ-মাংসের দাম।

বন্দরবাজারের সবজি ব্যবসায়ী রফিক মিয়া জানান, অধিকাংশ নিত্যপণ্য বাইরে থেকে আমদানি করতে। পণ্য আমদানি নির্ভর হওয়ায় মজুত কম। বিধায় দাম আকাশমুখী। তিনি বলেন, দেশীয় উৎপাদন বেশি থাকলে দাম কম থাকতো।

মদিনা মার্কেটের খুচরা সবজি বিক্রেতা আলী বলেন, দেশি সবজির উৎপাদন কম থাকায় বেশিরভাগ সবজি ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে আড়তে সবজির দাম বেশি। তাই খুচরা বাজারেও দাম বেশি।

আম্বরখানার খুচরা ব্যবসায়ী মুহিদুল ইসলাম বলেন, আদা ও পেঁয়াজের আমদানি নাকি কমেছে। এর ফলে বাজারে দাম বাড়তির দিকে। বাড়তি দাম দিয়ে কিনে এখন আমাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

বন্দরবাজার থেকে সবজি কিনতে আসা শিমুল চৌধুরী জানান, বেড়েই চলছে নিত্য পণ্যের দাম। শীতকাল এসেছে কিন্তু এখনো শীতকালীন সকল সবজি বাজারে আসছে না। আর যেগুলো এসেছে তার দাম চড়া। ফলে বাজারে আসলে হিমশিম খেতে হয়।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2AEq9PS

November 28, 2017 at 01:03PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top