সুরমা টাইমস ডেস্ক:: সিলেট সিটি করপোরেশনের তিনটি অব্যবহৃত গাড়ি গায়েব হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ বিষয়ে থানায় জিডি হওয়ার ৯দিন পর গত বৃহস্পতিবার (২রা নভেম্বর) রাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী তদন্ত কমিটি গঠনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের অব্যবহৃত গাড়ি গায়েব হওয়ার রহস্য উদঘাটন করতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন,তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন-সিলেট সিটি করপোরেশনের সচিব বদরুল হক, সদস্য সচিব নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ),বর্তমানে করপোরেশনের যান্ত্রিক শাখায় কর্মরত রুহুল আলম এবং সদস্য করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) আলী আকবর। করপোরেশন থেকে গায়েব হওয়া গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে পিকআপ, মিনি ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিলেট বিআরটিএ’র সরকারী যানবাহন ও কনডেমনেশন শাখা থেকে এই গাড়িগুলোর বিষয়ে করপোরেশনকে ২০১৬ সালের ১৮ই মে একটি রিপোর্ট দাখিল করা হয়। ওই সময়ে রিপোর্টটি দাখিল করেছিলেন সিলেট বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক কেশব কুমার দাস এবং সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত হোসেন মন্টু। কনডেমনেশন শাখা থেকে করপোরেশনে রিপোর্ট দাখিলের পর নিয়মানুযায়ী এসব গাড়ি বিক্রির জন্য টেন্ডার আহ্বান করার কথা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে টেন্ডার আহ্বান না করে করপোরেশনের চিহ্নিত একটি চক্র গাড়িগুলো অযত্নে ফেলে রাখে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, দিনের পর দিন পড়ে থাকার সুযোগে করপোরেশনের পরিবহন শাখার একটি চক্র ওই গাড়িগুলো থেকে মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে বিক্রি করে। গত ২৭শে সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় তিনটি গাড়ি গায়েবের কথা উল্লেখ করে জিডি (নম্বর ১৯৪৯) করা হয়। এর একমাস পর ওই জিডি তদন্তে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
সিটি করপোরেশন থেকে ৩টি গাড়ি নিখোঁজের ঘটনার পরপরই গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ এবং সিলেট সিটি করপোরেশনে তোলপাড় শুরু হয়।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের পাশাপাশি কোতোয়ালি থানার জিডি তদন্তের আদেশ চেয়ে গত বুধবার (১লা নভেম্বর) সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে আবেদন করেন পুলিশের এসআই বেনু চন্দ্র দেব। তবে আদালত থেকে এখনও আদেশ পাননি বলে জানান তিনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান করপোরেশনের সচিব রহুল আনাম বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তের জন্য মেয়র মৌখিকভাবে বললেও এখনও কোনও চিঠি পাইনি। অফিস খোলার পর ফাইলপত্র হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু হবে।’
জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয়ের (পীর হাবিবুর রহমান পাঠাগার) দক্ষিণ-পশ্চিম পাশে রাখা তিনটি অব্যবহৃত গাড়ি গত ২৬শে সেপ্টেম্বর গায়েব হয়ে যায়।
এ ঘটনার ২৭ দিন পর গত ২৪শে অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় ডায়েরি করেন করপোরেশনের পরিবহন শাখার উপ সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) জাবেরুল ইসলাম।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zfWskm
November 06, 2017 at 01:26AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন