ঢাকা, ২৪ নভেম্বর- জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও নন্দিত বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী আর নেই। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহ্স্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে মারা যান তিনি (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। শিল্পীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১৭ নভেম্বর রাতে হার্ট অ্যাটাক করলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সকালে মরদেহ নেত্রকোনায় শিল্পীর নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সাব্বির সিদ্দিকী। এর আগে বিটিভি ভবনে জানাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান তিনি। বারী সিদ্দিকীর দুটি কিডনিও অকার্যকর ছিল। দুই বছর ধরেই তার ডায়ালাইসিস চলছিল। বারী সিদ্দিকী (১৯৫৪-২০১৭)বারী সিদ্দিকী একাধারে খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বংশীবাদক। তিনি মূলত গ্রামীণ লোকসংগীত ও আধ্যাত্মিক ধারার গান করে থাকেন। তার গাওয়া শুয়া চান পাখি, আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, সাড়ে তিন হাত কবর, তুমি থাকো কারাগারে, রজনী প্রভৃতি গান ব্যাপক জনপ্রিয়। বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারেই গান শেখায় হাতেখড়ি হয় তার। ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণী শিল্পীর সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারী সিদ্দিকীকে দেখে তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরে ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন বারী। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সঙ্গে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন। দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও বারী সিদ্দিকী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের শ্রাবণ মেঘের দিন ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর। এই ছবিতে তার গাওয়া ছয়টি গানই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2zhwxYG
November 24, 2017 at 10:23AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top