নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বরঃ সুপ্রিমকোর্টের রায়ে তিন তালাক বেআইনি হলেও বাস্তবে তা যে কার্যকর হয়নি, তার ফের প্রমাণ মিলল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খালিদ বিন ইউসুফ খান হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন খালিদকে তালাক দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অভিযুক্ত অধ্যাপক প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ ও পরে টেক্সট মেসেজ করে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। এমনকি বাড়ি থেকেও বার করে দিয়েছেন স্ত্রীকে। বিচারের জন্যে এদিক-ওদিক ঘুরেও ফল পাননি ইয়াসমিন। অবশেষে শুক্রবার পুলিশের সাহায্যে নিয়ে নিজের বাড়িতে ঢুকতে পারেন তিনি। ইয়াসমিন জানিয়েছেন, ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে সুবিচার না পেলে ভাইস চ্যান্সেলরের তারিক মনসুরের বাড়ির সামনে ৩ ছেলেমেয়েকে নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করবেন।
ওই অধ্যাপকও স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, শুধু হোয়াটসঅ্যাপ ও এসএমএসে নয়, ইয়াসমিনকে তিনি শরিয়া মেনে ২ জন সাক্ষীর সামনে মৌখিকভাবেও তালাক দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, ২০ বছর ধরে ইয়াসমিন হেনস্থা করে চলেছেন তাঁকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইয়াসমিন এখনও স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তিনি শুধু কাউন্সেলিং চাইছেন। স্বামী স্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়েছে পুলিশ।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2zADnf0
November 12, 2017 at 12:59PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন