সুরমা টাইমস ডেস্ক :: বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা হরতালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। কেথায় কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি। সব ধরণের যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
সিলেট শহরে হরতাল-সমর্থকদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে সকালে হরতালের সমর্থনে জোটের কিছু নেতাকর্মী নগরীর কোর্ট পয়েন্টের সামনে এসে অবস্থান নেন। সকাল ৮টার দিকে ১৫-২০ জনকে মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্ট থেকে চৌহাট্রা শহীদ মিনার পর্যন্ত মিছিল করতে দেখা যায়।
সকাল থেকেই সড়কের পাশের ও বিভিন্ন বিপণিকেন্দ্র খোলা রয়েছে। দোকানীরা সাজিয়ে রাখে তাদের পসঁরা। প্রতিটি দোকানেই দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড়। নগরীতে রিকসা, অটোরিকসা চলে স্বাভাবিক ভাবেই। সকাল থেকেই যানজটে লেগে থাকে নগরীর জিন্দাবাজর, বন্দরবাজর, আম্বরখানাসহ বিভিন্ন এলাকায়।
এদিকে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন গন্তব্য স্থানের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায় দুরপাল্লার গাড়ি। অফিস আদালতে চলে স্বাবাভিক কার্য়ক্রম এবং নির্দিষ্টি সময়ে ছেড়ে গেছে ট্রেন। তবে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা জালালাবাদ এক্সপ্রেস সকাল ৮টার দিকে কুলাউড়ার ভাটেরা রেলেস্টশেনর পাশে হোসেনপুর এলাকায় পৌছালে হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে সিলেটের সাথে সারাদেশের রেল যোগাযোগ প্রায় ৪ঘন্টার মতো বিচ্ছিন্ন থাকে। পরে ১২টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার মো. শহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ সারা দেশে আধা বেলা হরতাল ডাকে কয়েকটি বাম দল ও জোট। সকাল ছয়টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত এ হরতাল পালিত হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩নভেম্বর) বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হরতালের ডাক দেয় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানায়, প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়াবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন এ হার কার্যকর হবে। দরিদ্র গ্রাহকদের এত দিন যে ন্যূনতম বিল (মিনিমাম চার্জ) দিতে হতো, সেটা আর থাকছে না। মিনিমাম চার্জ তুলে দেওয়ার ফলে ৩০ লাখ দরিদ্র গ্রাহক উপকৃত হবে। আর সাত লাখ লাইফ লাইন গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম কিছুটা বাড়বে। পাইকারি ক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে না। এ ক্ষেত্রে দাম না বাড়ার কারণ, সরকার সেখানে ভর্তুকি দেবে। তাতে বছরে ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয়কে পাইকারি দাম হিসেবে ধরা হয়।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালের ১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মোট আটবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2i2tc8S
November 30, 2017 at 02:36PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন