বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথে বহুল আলোচিত প্রবাসী আবিদ আলী উরফে আকদ্দুুছ আলীর কিশোরী বধূ স্বপ্না বেগম ও তার নিকটআত্মীয়ের বন্ধু কর্তৃক দায়েরকৃত ৩তিন টি মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে ও মিথ্যা মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক আব্দুস সালাম মুন্না।
সিলেটের ডিআইজি বরাবরে লিখিত অভিযোগে বিশ্বনাথের স্থানীয় সাংবাদিক উপজেলার বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের মৃত সফর আলীর পুত্র মোঃ আব্দুস সালাম মুন্না বলেন, বিশ্বনাথ উপজেলার মুফতিরগাঁও গ্রামের আবিদ আলী উরফে আকদ্দুছ আলী (৬২) আমার দুর্সম্পর্কে মামাতো ভাই। তার কিশোরী বধূ ও তার নিকটআত্মীয়ের বন্ধু আক্তার হোসেন কর্তৃক দায়েরকৃত একাধিক মিথ্যা মামলায় আজ আমি নানান হয়রানীর শিকার। আবিদ আলী উরফে আকদ্দুছ আলী ইতিমধ্যে একাধিক বিয়ে করেছেন। বুড়ো বয়সে তার এই বিয়ে পাগলামীর বিষয় আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী অনেকটা ঘৃণা এবং নিন্দার চোঁখে দেখেন। প্রবাসে স্ত্রী ও ৬ সন্তান থাকা সত্বেও তিনি প্রায় দু’দশক পূর্বে আপন খালাতো বোন রাহেলা বেগমকে (৪৮) বিয়ে করেন। এই স্ত্রীর ঘরে রয়েছে তার ৩ সন্তান। পূর্বের স্ত্রীর সন্তানদের মতো এই স্ত্রীর সন্তানরাও বৃটেনের স্থায়ী নাগরিক। দুই স্ত্রী থাকা সত্বেও গত এক দশকে দেশে এসে তিনি নামে বেনামে আরো একাধিক বিয়ে করেন। গত প্রায় ৩বছর পুর্বে উক্ত আকদ্দুছ আলী দেশে এসে আবারো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এবার তার পছন্দ হয় স্বামী পরিত্যাক্ত সুন্দরী কিশোরী স্বপ্না বেগমকে (১৯)। দিনমজুর পরিবারের মেয়ে স্বপ্না প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর মিস্টি কথায় আর স্বপ্নের দেশ লন্ডনের কথা ভেবে বিয়েতে সম্মতি দেয়। প্রবাসী আকদ্দুছ আলী এই স্ত্রীকে উপজেলার নতুন বাজারে নিজ বাসায় না তুলে স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি বিশ্বনাথের পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। এক সময় পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামে আকদ্দুছ আলীর এমন ঘনঘন আসা যাওয়া ও রাত্রী যাপনের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানাঘোষা শুরু হলে নিরবে বিলাতে পালিয়ে যান আকদ্দুছ আলী। গত বছর দেশে এসে পূর্বের মতো নতুন এই স্ত্রীকে নিয়ে তার নিজ বাড়িতে বাড়ীর লোকজনদের আপত্তির কারনে থাকার সুযোগ করতে না পারায় ২য় স্ত্রীর কাছে বিয়ের জন্য লিখিত অনুমতি চান আকদ্দুছ আলী। এতে ২য় স্ত্রী রাহেলা বেগম রাজি না হওয়ায় নানান ফন্দি ফিকির শুরু করেন তিনি। ২য় স্ত্রীর সাথে বিশ্বনাথ নতুন বাজারের টিএন্ডটি রোডস্থ ‘তারা ভবন’র বাসায় না থেকে কখনও নতুন স্ত্রীর বাড়ীতে, আবার কখনও মুফতিরগাঁও গ্রামের নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়াদের সাথে বসবাস করতে থাকেন। ২য় স্ত্রীর কাছ থেকে বিয়ের অনুমতি না পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন আকদ্দুছ আলী। এসময় তিনি ২য় স্ত্রী রাহেলা বেগমকে মারধর করলে এবং নানান হুমকি দিলে রাহেলা বেগম সিলেটের আদালতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগে প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর ২য় স্ত্রী রাহেলা বেগম উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছর ধরে আকদ্দুছ আলী বিয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য তাকে (রাহেলা) চাপ দিয়ে আসছেন। এতে তিনি সম্মতি না দেওয়ার তাকে লন্ডনে থাকা তার ৩ বৃটিশ সন্তানদেরকে যোগাযোগের কোন সুযোগ দিচ্ছেন না আকদ্দুছ আলী। বরং বিভিন্নভাবে মানসিক নির্যাতন করছেন এবং তাকে তালাক দিয়ে বাসা ছাড়ার এমনকি মেরে ফেলার হুমকিও দিয়ে আসছেন।এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। বিয়ে পাগল এই বুড়োর বিয়ে নিয়ে নানান মুখরোচক কাহিনী নাতনীর বয়সী কিশোরী বধু স্বপ্না সহ বিয়ের ছবি বিভিন্ন মিডিয়ায় আসলে তখন গোপনে দেশ ত্যাগ করেন তিনি। রাহেলা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আকদ্দুছ আলীর বিরুদ্ধে রিপোর্ট প্রদান করে। পরবর্তীতে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে এমনকি তার বাড়ীর মালামালও ক্রোক করে। আর এতে অবস্থা বেগতিক দেখে দ্বিতীয় স্ত্রী রাহেলার উপর চটে গিয়ে তাকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, নানান হুমকি দেন এবং তার নতুন স্ত্রীর নিকট আত্মীয়ের বন্ধু বিশ্বনাথের স্থানীয় রাজনগর গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের পুত্র আক্তার হোসেনকে ভূয়া কাগজে আমমোক্তার প্রদান করেন। এই আমমোক্তারের বলে উক্ত আক্তার হোসেন ১০-১২ জন যুবক নিয়ে গত মে মাসে রাহেলা বেগমকে বিশ্বনাথ নতুন বাজারস্থ টিএনটি রোডের বাসা থেকে উচ্ছেদ করতে যায়। কিন্তু রাহেলা বেগম ও মুফতিরগাঁও গ্রামবাসীর বাঁধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয় আক্তার গংরা। আর এই ঘঠনায় রাহেলা বেগম মুফতিরগাঁও গ্রামবাসীর মাধ্যমে রাজনগর গ্রামবাসীর কিছু মুরব্বীয়ানদের কাছে বিচারপ্রার্থী হলে তারা আক্তারকে তিরস্কার করেন এবং সে ক্ষমা চেয়ে এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে অঙ্গিকার করে। এরপর মুরব্বীয়ানদের মাধ্যমে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ নিয়ে উক্ত আক্তার প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর ২য় স্ত্রী ও তার পক্ষের লোকজন নিয়ে একাধিক বৈঠক বসে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার বিরোধ নিয়ে। কিন্তু উক্ত আলাপ-আলোচনা চলমান অবস্থায় গত ১৩ই সেপ্টেম্বর উক্ত আক্তার হোসেন সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে আমি’সহ ৫জনের বিরুদ্ধে একটি চুরির মামলা দায়ের করে। সিআর মামলা নাম্বার ২৭৬। বর্তমানে সেই মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছে। এই মামলার একমাস পেরোতে না পেরোতেই স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে গত ১০ই অক্টোবর সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে মারধরের একটি সাঁজানো মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যার নাম্বার ৪০। আর এতেই স্বপ্না ক্ষান্ত হয়নি। এই মামলা দায়েরের ২ সপ্তাহ পর গত ২৪ই অক্টোবর সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ৩১২। তিনটি মামলায়ই আমাকে আসামী করা হয়। অতচ এই স্বপ্না বেগমকে আমি কোন দিন দেখিনি। যদিও উক্ত আক্তার হোসেনকে আমার চেনা জানা আছে, কিন্তু গত বছর খানেক হয় তার সাথে কোন দেখা সাক্ষাৎ নেই। লন্ডন প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর আলোচিত এই কিশোরী বধুর প্রতিহিংসার হাত থেকে বাদ পড়েননি তার স্বামীর কণিষ্ঠ ভাই প্রবাসী সাংবাদিক মোঃ আবুল কালামও।
লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক আব্দুস সালাম মুন্না বিনা অপরাধে তার উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে (প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে) কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন এবং মিথ্যা মামলা দায়েরকারী আক্তার হোসেন ও স্বপ্না বেগমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ সকল ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন জানান।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2yEZzW5
November 08, 2017 at 12:26PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন