দিল্লি, ৭ নভেম্বরঃ আগামীকালই নোটবাতিলের বর্ষপূর্তি। গতবছর ৮ নভেম্বর রাতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন নোটবাতিলের কথা। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট চলে যায় বাতিলের তালিকায়। যার পরিবর্তে বাজারে আনা হয় নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট। বিরোধীদের অভিযোগ, নোটবাতিলের ফলে অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল কেন্দ্র। এদিন নোট বাতিলের স্বপক্ষে মত দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কালো টাকা আটকাতে মূলত নোটবাতিল করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে ভাবে হয়েছিল আরও কিছু ব্যবস্থাও। এর মধ্যে অন্যতম হল, ভারতীয়রা যেভাবে টাকা খরচ করে সেই পদ্ধতিতে লাগাম টানা। অর্থ্যাৎ, ক্যাশের পরিবর্তে ডিজিটাল ট্রানজাকশান বেশি করা। কারণ, দেশের আর্থিক অবস্থার বদলের প্রয়োজন ছিল। নগদে লেনদেন হলে কর ফাঁকি হচ্ছিল বেশি। অতিরিক্ত নগদ ব্যবহার হলে দুর্নীতির আশঙ্কা থাকে।’
এদিন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, কালো টাকার বিরুদ্ধে আগের সরকার লড়াই করেনি। ইউপিএ ভুগছিল নীতিহীনতায়। তবে এনডিএ আর্থিক সংস্কার করেছে। দশ বছর ধরে অর্থনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় ছিল। ডিমনিটাইজেশনের ফলে সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিং রোখা গিয়েছে। ধরা পড়েছে বহু ভুয়ো কম্পানি। নোটবাতিলে সব সমস্যারই সমাধান যে হবে তা নয়, তবে সুফল অবশ্যই মিলবে। গত এক বছরে বেড়েছে টাকার যোগান, ব্যাংক, কর্পোরেট মার্কেট এবং মিউচুয়াল ফান্ডেও বেড়েছে বিনিয়োগ।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2zBOpBz
November 07, 2017 at 05:46PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন