কলকাতা, ০৬ নভেম্বর- সংসার করতে মন্দিরে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন প্রেমিককে। কিন্তু সুখের হয়নি সেই সংসার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় অত্যাচার। সহ্য করতে না পেরে স্বামীর ঘর ছেড়ে চলে আসেন মৌমিতা। আর সম্পর্ক রাখেননি। এটাই পছন্দ হয়নি স্বামীর। প্রতিশোধ নিতে বিয়ের ছবি পোস্ট করেন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে। তাতেই অপমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মৌমিতা। মৌমিতার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের ইংলিশ অনার্সের থার্ড ইয়ারে পড়তেন মৌমিতা। নবদ্বীপের প্রাচীন মায়াপুরের বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, মৌমিতাকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে এপ্রিল মাসে বিয়ে করে পোড়াঘাট এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় সাহা। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে চারমাস পর বাড়ি ফিরে আসেন মৌমিতা। এই ঘটনা মাস তিনেক আগের। এরপর সঞ্জয় বারবার ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে চায়। কিন্তু মৌমিতা তাতে রাজি হননি। দিন কয়েক আগে জানতে পারেন, একটি ভুয়ো প্রোফাইল থেকে তাদের বিয়ের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছে সঞ্জয়। এই অপমান আর সহ্য হয়নি। গতকাল বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন মৌমিতা। বাবা-মা বাড়ি ফিরে এসে ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি। প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে মেয়ে। খবর দেওয়া হয় নবদ্বীপ থানায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সঞ্জয়ের খোঁজ করছে। এমএ/০৯:২৪/০৬ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2y5dDni
November 06, 2017 at 03:26PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন