ঢাকা, ১০ নভেম্বর- হুট করেই বাংলাদেশকে পদত্যাগ করলেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। আগের দিন এক মেইল বার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে না থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেন এ লঙ্কান। অথচ তার চুক্তি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তাই এর আগে হুট করে বিদায় নেওয়াটা পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদের। এটাকে অপেশাদার আচরণই বলেছেন তিনি। তবে বিশ্বকাপ এখন দেড় বছর দূরে থাকায় ভালো দিকও দেখছেন বিসিবির সাবেক এ নির্বাচক। বিশ্বকাপের জন্য পরিকল্পনা সাজাতে লম্বা সময় থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তিনি। ফারুকের মতে কোন পদই চিরস্থায়ী নয়। কোচ কিংবা খেলোয়াড় যে পদই হোক। আর বিদেশি কোচের ক্ষেত্রে এটা আরও দ্রুতই পরিবর্তন হয় বলে মনে করেন ফারুক। তবে পেশাদার আচরণটাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সাবেক এ অধিনায়ক, বিদেশি কোচ আসবে। তারা সারা জীবন থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে পদত্যাগ পত্র দেওয়া হয়েছে এটা পেশাদার ছিলোনা। কারণ বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তার সঙ্গে যে চুক্তি, তার সুবিধা, পৃথিবীর অন্যতম সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত, এছাড়াও তার অনেক কর্তৃত্বও ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছিল। তবে চুক্তির আগে এমন হঠাৎ করে বিদায় ঠিক হয়নি। আগে জানালে আমাদের জন্য ভালো হতো। আরও পেশাদার হওয়া উচিৎ ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে হাথুরুসিংহে ছিলেন প্রায় আড়াই বছর। এ সময়ে অনেক সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে একজন কোচের চার বছর পাড় করার পর আর কিছু দেওয়ার থাকেনা বলে মনে করেন ফারুক। তাই আড়াই বছরে হাথুরসিংহের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সবটুকুই পেয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। তাই কোচের হঠাৎ বিদায়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় কোন ক্ষতি হবে না বলে মনে করেন সাবেক এ অধিনায়ক। খুব শিগগিরি নতুন কোচ নিয়োগের জন্য বিসিবিকে তাগিদও দিয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে লম্বা সময় থাকায় এর মধ্যেই গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। একটা ভালো দিক দেখছি। বিশ্বকাপের আগে আমরা দেড় বছর সময় পাবো। আর একটা জিনিস আমাদের দলটা এখন অনেক পরিণত বেশ কিছু খেলোয়াড় নিয়মিত পারফর্ম করছে। ঘরে আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী দলে পরিণত হয়েছি বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। এখন এটার সঠিক পরিচর্যার দরকার। হাতুরাতো আমাদের সঙ্গে আড়াই বছর ছিলেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখবেন একটা কোচ চার বছরের বেশি দেখা যায়না। আর এর প্রধান কারণ হচ্ছে একজনের মাথায় যে বুদ্ধি থাকে চার বছর তা দিয়ে দেওয়ার জন্য লম্বা সময়। হাথুরা চলে যাচ্ছে আড়াই বছরে এর মধ্যে আমাদের বেশ কিছু সফলতা আছে। এটা নিয়ে বসে থাকলে হবে না এগিয়ে যেতে হবে। হাথুরুসিংহেকে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বোর্ড সভাপতির এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ফারুক। তবে হাথুরুসিংহে রাজী না হলে দ্রুত প্রধান কোচ নিয়োগের তাগিদ দিয়েছেন তিনি। যুক্তিও তুলে ধরেছেন, আমার মনে হয় এখন আমাদের প্রথম দরকার একটা কোচিং স্টাফ তৈরি করা। অবশ্যই প্রধান কোচ এবং তার সাথে যারা থাকবে। আপনারা জানেন একটা কোচিং স্টাফ প্রধান কোচের অধিনেই থাকে। যেই প্রধান কোচ আসবেন তার পছন্দের কিছু লোকও থাকবেন। এই জিনিস খুব শিগগিরি করা দরকার। আমাদের সামনে শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে আমি মনে করি এর আগে একটা কোচ খুঁজে নেওয়া দরকার। তবে শেষ পর্যন্ত যদি বিসিবি সভাপতির অনুরোধে হাথুরুসিংহে ফিরে আসেন তাহলে সেটা নেতিবাচক হওয়ার সম্ভবনাই বেশি বলে মনে করেন ফারুক, থেকে গেলে পুরোপুরি বোর্ডের ব্যাপার। একটা ব্যাপার হয়কি, এমন হলে সম্পর্কটা আগের মতো থাকেনা, বন্ডেজটা কমে যায়। আপনার কাছে মনে হবে ছোট খাট কিছু হলে সে চলে যাবে। এই যে ভয়টা, এটা আসলে কোন পক্ষের জন্য সুখকর না। আমি যেটা শুনেছি সে কোন ফোন টোন ধরছে না, যোগাযোগের কোন চেষ্টাই হচ্ছে না। যদি এমন কিছু একটা হয়ে থাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উচিৎ এগিয়ে যাওয়া। খুব তাড়াতাড়ি একজন কোচের সন্ধান করা। তথ্যসূত্র: পরিবর্তন এআর/১৮:৫৮/১০ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ys0AMT
November 11, 2017 at 12:58AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন