সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সায়েম আহমদ নিখোঁজ হননি। পছন্দের নারীর সাথে পরিবারের লোকজন বিয়েতে রাজি না হওয়ায় অভিমান করে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি- এমনটাই জানিয়েছে তার পরিবার। পরিবারের ভাষ্য, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে তার সন্ধান পাওয়া গেছে। সায়েমের ব্যবহৃত অন্য একটি মোবাইলে ফোনের নাম্বারে তার সাথে কথা বলেছে তার পরিবারের লোকজন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই সন্তানের জননী এক নারী সায়েমের বাসার পাশের একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ওই নারী গোলাপগঞ্জে একটি এনজিও সংস্থায় কর্মরত। ওই গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সায়েম। বিষয়টি সায়েমের পরিবারে জানাজানি হলে তার পরিবার ওই গৃহবধূকে অন্য স্থানে বাসা ভাড়া নেয়ার জন্য পরামর্শ দিলে এতে ক্ষুব্ধ হয় ওঠেন সায়েম। এর পর থেকে সায়েম ওই গৃহবধূকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবারের লোকজনদের নির্যাতন শুরু করেন।
গত কয়েকদিন আগে তার নির্যাতন সইতে না পেরে তার বাবা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। কিছুদিন জেলে থাকার পর বের হয়ে আসেন সায়েম। বের হয়ে কয়েকদিন পর রহস্যজনকভাবে হঠাৎ উধাও হয়ে যান।
অপর একটি সূত্র জানায়, সায়েম আরও একবার অপহরণ হওয়ার অভিনয় করে তার পরিবারের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে তার বাবা থানা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ তার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বুঝতে পারে অপহরণের নাটক তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।
সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর আবারো তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সায়েমের মা শাহানা আক্তার তার কোন খোঁজ না পেয়ে ৯ ডিসেম্বর গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং- ৪৭৯) করেন। নিখোঁজের ৮ দিন পর তার পরিবারের লোকজন জানতে পারেন তিনি পরিবারের সাথে অভিমান করে আত্মগোপন করেছেন।
সায়েমের মামা মাসুদ আহমদ বলেন, সায়েম একটি মুঠোফোনে জানিয়েছে সে নিখোঁজ নয়, ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরী নিয়েছে। বাড়িতে আসবে না বলেও সে জানায়।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (প্রশাসন) একেএম ফজলুল হক শিবলীর জানান, নিখোঁজ হওয়া সায়েমের চরিত্র ভাল নয়। সে দীর্ঘদিন থেকে তার মা বাবাকে নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তার বাবাও বেশ কয়েকবার তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন। সে যে নিখোঁজ হয়নি তার পরিবারের কাছ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zdSH0A
December 15, 2017 at 02:47PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন