কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর- বর্তমানে বাংলা রাজনীতির সবচেয়ে বড় মুখ তিনি। এমনকী, জাতীয় রাজনীতিতেও আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা ফ্যাক্টর বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল। বিজেপি বিরোধী শক্তিতে তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর তৃণমূল কংগ্রেস-কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন সনিয়া থেকে শরদ যাদব, অখিলেশ যাদবরা। জ্যোতি বসুর পর বাংলা রাজনীতিতে এতবড় কৌশলী রাজনীতিক এসেছেন কি না তা নিয়ে সন্দেহই আছে। সময় যত গড়িয়েছে ততই যেন পরিণত রাজনীতিক হিসাবে প্রতিনিয়ত নিজেকে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তি তাঁর এবং তাঁর দলের সবচেয়ে বড় ইউএসপি তাকে কোনওভাবেই ম্লান হতে দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণ আজ দেশের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী বিরোধী শিবিরে অন্যতম বড় মুখের নামও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌলবাদী হিন্দুদের উপরে যিনি গত কয়েক বছরে কুঠারাঘাত করে চলেছেন। নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। কিন্তু, সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্ট-এই ভরসা রাখেন। বাংলার এই একরোখা-প্রতিবাদী জননেত্রীকে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে রাজ্যে চালু হওয়া কন্যাশ্রী পেয়েছে এবার বিশ্বসেরার শিরোপা। দ্য হেগে তাঁর হাতে কন্যাশ্রী-র বিশ্বসেরা হওয়ার সম্মানও তুলে দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল। শুধু কন্যাশ্রী নয় রাজ্যের প্রান্তিক মানুষের প্রতিনিয়ত জীবন-যাপনকে দেখিয়েছেন এক আলোর দিশা। তাই জঙ্গলমহলে সন্ত্রাস ভুলে মানুষ এখন উন্নয়নের শরিক। যেভাবে পাহাড় হিংসায় বিমল গুরুং এবং তাঁর বাহিনীকে পর্যদুস্ত করে বিনয় তামাং-কে তুলে ধরেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, তার পিছনেও যে ক্ষুরধার মস্তিষ্ক কাজ করেছে তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও পড়ুন: সেলফিতে না, দলের কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের ফলে পাহাড়ে ক্রমশই প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন হার্ডলাইনার বিমল গুরুং এবং তাঁর দলবল। তবে, এহেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে বিতর্কও কম হয়নি গত এক বছরে। কিন্তু, যেখানে এক রাজনীতিককে একটা নীতি ও আদর্শকে সম্বল করে কাজ করতে হয় সেখানে তো এমন বিতর্ক স্বাভাবিক। অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করা আপামার বাংলাবাসীর অধিকাংশই তাই মনে করেন। তাই বিতর্কিত হয়েও গত এক বছরে তাঁর সদর্থক মানসিকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তির জন্য বাংলা ও বাঙালির নয়নের মণি হয়েই থেকেছেন দিদি। সূত্র: ওয়ানইন্ডিয়া এফ/২৪:৪২/২০ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BR5YON
December 21, 2017 at 07:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন