সুরমা টাইমস ডেস্ক:: ঢাকার জিগাতলার মনেশ্বর রোডে গতকাল মঙ্গলবার (১২ই ডিসেম্বর) বিকেলে আকায়েদ উল্লাহর শ্বশুরবাড়ি খুঁজে পেতে বেশি বেগ পেতে হলো না। কারণ, আশপাশের দোকানদার, লোকজন ততক্ষণে জেনে গেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বোমা হামলাকারী ‘জঙ্গি’র শ্বশুরবাড়ি এখানেই। আকায়েদের শ্বশুর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে ওই এলাকায় ভাড়া থাকছেন। নিরীহ ও ভালো মানুষ হিসেবে এত দিনের পরিচিতি ঘুচিয়ে রাতারাতি তিনি বনে গেছেন ‘জঙ্গির শ্বশুর’।
ছয় মাসের শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে আকায়েদের স্ত্রীকে এখন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আকায়েদের ভাইবোনদের পুলিশি জেরার পাশাপাশি কঠিন সামাজিক পরিস্থিতিরও শিকার হতে হচ্ছে।
শুধু পরিবারকেই নয়, তিনি বিপদে ফেলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিকে। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশিদের জড়িয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতিকেরা।
নিউইয়র্কের পোর্ট অথরিটি বাস টার্মিনালের পাতালপথে গত সোমবার সকালে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন ২৭ বছরের আকায়েদ উল্লাহ। এ ঘটনায় গতকাল নিউইয়র্কের পুলিশ আকায়েদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে অস্ত্র রাখা, সন্ত্রাসবাদী কাজ সমর্থন এবং সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি তৈরির অভিযোগ এনেছে।
নিউইয়র্কের পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, আকায়েদের এ কাজের পেছনে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসের প্রেরণা থাকতে পারে। বিস্ফোরিত বোমাটি আকায়েদের নিজ হাতে বানানো। এটি পুরোপুরি বিস্ফোরিত না হওয়ায় কেবল হামলাকারী ও অন্য চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে হামলাকারীর অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ।
ঢাকার জিগাতলায় আকায়েদের শ্বশুরের পরিবারকে এক যুগের বেশি সময় ধরে চেনেন এমন এক মুদিদোকানি বলেন, দোকানে দোকানে কাজ করে দুই ছেলেমেয়েকে বড় করেছেন আকায়েদের শ্বশুর। ছেলেমেয়েকে পড়াতে তাঁকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। কলেজে পড়ুয়া মেয়ের যখন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী পাত্রের সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ এল, তখন পরিবারটি খুশি হয়েছিল।
ওই দোকানি জানান, বিয়ের পর এ বছর তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। পরিবারটি অপেক্ষা করছিল কবে আকায়েদ তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাবেন। এরই মধ্যে সবকিছু উল্টে গেল। তিনি বলেন, ঘরে ছয় মাসের ছেলে রেখে কোনো মানুষ যে এ রকম কিছু করতে পারে, তা ভাবনারও অতীত।
উল্লেখ্য, আকায়েদ তাঁর বোনের বান্ধবীকে বিয়ে করেন। সেই বোনটি এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন।
গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে আকায়েদের শ্বশুরবাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেল সংবাদকর্মী আর মানুষের জটলা। বাড়ির মালিক মুখ ঢেকে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, আর অনুরোধ করছেন তাঁর ছবি না তোলার জন্য। কথার মাঝেই বাড়ির মালিক বলছিলেন, ছেলেটা সবাইকে বিপদে ফেলল।
বাড়ির মালিক বলেন, আকায়েদের শ্বশুর ১৯৯৭ সাল থেকে তাঁর বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এর আগে টিনশেডের বাসায় একটি ঘর নিয়ে থাকত পুরো পরিবার। পরে ছয়তলা ভবন করা হলে নিচতলার ফ্ল্যাটটি মাসে সাড়ে ১৩ হাজার টাকায় ভাড়া নেয় পরিবারটি। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির একটি দোকানে কাজ করেন পরিবারের প্রধান। চলতি বছর তাঁর ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে একই মার্কেটে আরেকটি দোকানে কাজ নিয়েছেন।
পরিবারটি সচ্ছল না হলেও সবাই তাঁদের ভালো মানুষ হিসেবে জানে—এই তথ্য জানিয়ে বাড়ির মালিক বলেন, মাসের ভাড়া দিতে মাঝেমধ্যে দেরি করেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে এ বাড়িতেই মেয়েটির বিয়ে হয়। এ বছরের জুনে তাঁদের একটি ছেলে হয়।
বাড়িটির নিরাপত্তাকর্মী মোফাজ্জল হোসেন বলেন, গত কোরবানি ঈদের সময় আকায়েদ এখানে এসেছিলেন। এখানেই কোরবানি দেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। এমনিতে কথাবার্তা ভালোই ছিল। সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা আকায়েদের শ্যালক বলেন, আকায়েদ ধার্মিক ছিলেন। কিন্তু তাঁর মধ্যে যে উগ্রবাদী চিন্তা ঢুকেছে, তা তাঁরা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি।
এদিকে গতকাল বেলা তিনটার দিকে পুলিশের সাদাপোশাকের একটি দল আকায়েদের স্ত্রী ও তাঁর শ্বশুর-শাশুড়িকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে আবার পুলিশের এক সদস্যের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে আকায়েদের শ্বশুর বাসায় আসেন। তিনি ফেলে যাওয়া মুঠোফোনটি নিয়ে যান। তবে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি তিনি।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, পরিবারের অন্য সদস্যদের সূত্র ধরে (পারিবারিক ভিসায়) ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান আকায়েদ। তিনি সেখানকার নাগরিকত্ব (গ্রিনকার্ড) পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মাঝে গত বছর দেশে এসে বিয়ে করেছেন। সর্বশেষ গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে এসে ২২ অক্টোবর আবার ফিরে যান। দেশে তাঁর অপরাধের রেকর্ড নেই। তিনি কী করে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হলেন, এসব জানতে তাঁর স্ত্রী ও অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং নিউইয়র্ক শহরের পুলিশ (এনওয়াইপিডি) বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বাঙালিদের মধ্যে উদ্বেগ:-
হামলার আশু প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শ্বেত নাগরিক গোষ্ঠীর মধ্যে অভিবাসীবিরোধী মনোভাব আরও চাঙা হয়ে উঠেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখপাত্র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স এই হামলার জন্য পারিবারিক ভিসা ব্যবস্থাকে দায়ী করে বলেন, অভিবাসীদের যদি নিজেদের পরিবারের সদস্যদের এ দেশে নিয়ে আসার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এমন ঘটনা ঠেকানো সম্ভব।
ইউএস টুডের খবরে গতকাল বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনার পর আরও কড়াকড়ি অভিভাসন নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর মন্তব্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অভিভাসন আইন কড়াকড়ি করা কতটা জরুরি, নিউইয়র্ক হামলার ঘটনা সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় অভিবাসী বাঙালিদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বাঙালিদের এক তাৎক্ষণিক জমায়েতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। নিউইয়র্কে কর্মরত বাংলাদেশি পুলিশদের সংগঠন, বাংলাদেশি-আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টারের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতেও নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে।
প্রবাসী সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদুল্লাহ বলেন, এমন ঘৃণ্য কাজ যারা করে, তারা প্রবাসীদের খুবই সামান্য একটি অংশ। কিন্তু এক বা দুজন হলেও তাদের কৃতকর্মের দায়ভার অন্য সবার ওপর এসে পড়ে।
সন্দ্বীপে স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ:-
আকায়েদের আদি বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের পণ্ডিত হাট এলাকার তালুকদার বাড়ি। তাঁর বাবা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সত্তরের দশকেই ঢাকায় এসে ব্যবসার সুবাদে হাজারীবাগ এলাকাতেই থাকতে শুরু করেন। সেখান থেকে ছয়-সাত বছর আগে সপরিবার আমেরিকায় পাড়ি জমান। কয়েক বছর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে মারা যান। নিউইয়র্কে হামলার পর পুলিশ গতকাল সন্দ্বীপে আকায়েদের তিন স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গতকাল সন্দ্বীপ থানায় তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাঁরা জঙ্গি তৎপরতার সঙ্গে জড়িত, এ রকম তথ্য পাওয়া যায়নি।’
আকায়েদের বাবার বন্ধু কামাল উল্লাহ বলেন, ম্যাট্রিকের পর যুদ্ধে যান তিনি (আকায়েদের বাবা)। আহতও হন। পরে ঢাকায় আসেন।
ওই মুক্তিযোদ্ধা বিয়ে করেন পাশের গাছুয়া ইউনিয়নে। তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে আকায়েদ দ্বিতীয়। আকায়েদের বড় ভাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে যান মামাদের সহায়তায়। মামারা আগে থেকেই আমেরিকায় থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জীবন:-
পরিবারের অন্য সদস্যদের সুবাদে ঢাকায় বিবিএ পড়া অবস্থায় ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান আকায়েদ। বাবা, মা, এক ভাই ও বোনকে নিয়ে ব্রুকলিনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। মৃদুভাষী, নিরীহ ও ধার্মিক বলে পরিচিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের কোনো পুলিশি রেকর্ড তাঁর নেই।
আকায়েদের প্রতিবেশী অ্যালান বুতরিকো সিএনএনকে জানিয়েছেন, আকায়েদ থাকতেন ভূগর্ভস্থ কক্ষে। তাঁর বোন থাকতেন দোতলায়। তাঁর ভাইও থাকতেন একই ভবনে। বুতরিকো বলেন, দুই রাত ধরে আকায়েদের বাড়ি থেকে মারামারি, চিৎকার ও কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল।
অ্যালান বলেন, আকায়েদ একেবারেই বন্ধুসুলভ ছিল না। কারও সঙ্গেই খুব একটা কথা বলতেন না।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৫ সাল পর্যন্ত ট্যাক্সি চালিয়েছেন আকায়েদ। সম্প্রতি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইলেকট্রিশিয়ান বড় ভাইয়ের সঙ্গে টাইমস স্কয়ার এলাকায় একটি বিদ্যুৎ কোম্পানিতে কাজ করতেন। কর্মস্থলে বসেই আকায়েদ বোমাটি বানিয়েছিলেন।
কেন এই হামলা?
আকায়েদ কেন এমন কাজ করলেন তা এখনো পরিষ্কার নয়। নিরীহ, কোনো রাজনৈতিক মতের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকা এক তরুণ কীভাবে উগ্রবাদী হলেন—বিশেষজ্ঞেরা এখন সেই প্রশ্ন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সংকট রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
এদিকে ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎস জানায়, জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির প্রতিবাদ হিসেবে এই কাজ করেছেন আকায়েদ। যদিও পুলিশের কাছ থেকে এই দাবির সত্যতা মেলেনি। পুলিশকে আকায়েদ জানিয়েছেন, কাজটা তিনি একাই করেছেন। তবে এর পেছনে আইএসের প্রেরণা কাজ করেছে।
আইএসের কথা বললেও সংগঠনটির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ পায়নি পুলিশ। হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আকায়েদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ এই সন্ত্রাসীর মনোচিত্রটি নির্মাণের চেষ্টা করছে।
আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা একমত যে কাজটি একদমই আনাড়ির মতো হয়েছে। যে বোমাটি আংশিক বিস্ফোরিত হয়, তা তিনি বানিয়েছিলেন ছোট পাইপে বিস্ফোরক, লোহা ও স্ক্রু ভরে। নিউইয়র্কের গভর্নর এন্ড্রু কুওমে বলেছেন, আজকাল যে কেউই ইন্টারনেটের সাহায্যে এমন বোমা বানাতে সক্ষম। আরও অনেক আকায়েদ উল্লাহ হয়তো আছেন, যাঁরা দৃষ্টি আকর্ষণের আশায় এমন সন্ত্রাসী পথ বেছে নিতে পারেন।
নিরাপত্তা প্রশ্নে কাজ করেন পিটার বার্গেন। তিনি সিএনএনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০০১ সালে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর এ পর্যন্ত যে ১২টির মতো সফল সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তার প্রতিটির পেছনেই রয়েছে কোনো না কোনো অপেশাদার সন্ত্রাসী।
এর আগে ২০১১ সালের ১৭ই অক্টোবর বোমা হামলার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ফাঁদে ফেলে (স্টিং অপারেশন) নিউইয়র্ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তরুণ কাজী রেজওয়ানুল আহসান নাফিসকে (২১)। নাফিসকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। তার আগে ২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যে উড়োজাহাজ উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বাংলাদেশি রাজীব করিম। চলতি মাসেই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাইমুর জাকারিয়া।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2AhbYw9
December 13, 2017 at 08:56PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.