নিউ ইয়র্ক, ০৮ ডিসেম্বর- যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি পুলিশ স্বাস্থ্যবীমা জালিয়াতির অপরাধে বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। নিউ ইয়র্কের পার্শ্ববর্তী গ্লেন হেডের বাসিন্দা ও বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. আজিজকে (৬১) কে গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয়। এর কয়েক সপ্তাহ আগে আজিজের স্ত্রী আনা খালেদ (৪২) একই অপরাধে পুলিশ হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। নাসাউ কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেডেলিন সিঙ্গাস বাংলাদেশি এ দম্পতি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কমিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. আজিজ ও তার স্ত্রী আনা খালেদ যুক্তি করে প্রথম স্ত্রীর পরিচয় চুরি করে হাসপাতালে ভর্তিসহ ফার্মাসি থেকে ব্যবস্থাপত্র দেখিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র উত্তোলন করে আসছিল। বিষয়টি হাসপাতাল ও ফার্মাসির কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে পুলিশে জানানো হয়। নাসাউ কাউন্টির পুলিশ কমিশনার প্যাট্রিক রেইডার বলেন, নাসাউ কাউন্টির পুলিশ বিভাগ এবং নাসাউ কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি অফিস কর্তৃক গভীর তদন্তের পর স্বাস্থ্যসেবা বীমা চুরি ও জালিয়াতির অপরাধে উক্ত বাংলাদেশি দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনাটি অপরাধমূলক কার্যক্রম কমিয়ে আনার জন্য একটি প্রচেষ্টা এবং বড় উদাহরণ। এইভাবে আমরা স্থানীয় গ্লেন হেডের বাসিন্দা এবং তাদের বীমা জালিয়াতির হাত থেকে রক্ষার করার চেষ্টা করি। যা প্রতি বছর এ খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করা হয়ে থাকে। নাসাউ কাউন্টির ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেডেলিন সিঙ্গাস এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৪ সালে আজিজের প্রথম স্ত্রী উইনথ্রপ হাসপাতালের জরুরী রুমে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি সন্তানের জন্ম হয়। ওই সময় ডাক্তার তার মেডিকেল ইতিহাস তালিকাভুক্ত করে রাখেন। সাম্প্রতি লং আইল্যান্ডের উত্তর শের ইহুদি হাসপাতালে আজীজের অন্য স্ত্রী একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এ সময় ঔষধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, কিন্তু তিনি ওষুধগুলি নির্দিষ্ট করতে পারেননি। এম আজিজকে উক্ত মেডিকেল বিল ও জালিয়াতি ঘটনার জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন অ্যাটর্নি সিঙ্গাস।তিনি বলেন, উক্ত দম্পতি গ্লেন হেড ফার্মেসিতে গিয়েছিল ওষুধ কিনতে কিন্তু প্রেসক্রিপশনে যার নাম ছিল, ওষুধগুলো উত্তোলন করতে যান আরেকজন। ফার্মাসির সিসিটিভিতে তা ধরা পড়ে। পরে বিষয়টি পুলিশে অবগত করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া এম.আজিজের প্রথম ডিগ্রি পরিচয় চুরি এবং চতুর্থ ডিগ্রি স্বাস্থ্যসেবা জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি নগদ ৩ হাজার ডলারের বিনিময়ে জামিনে আছেন বলে জানা গেছে। অপর দিকে ২৮ অক্টোবর গ্রেপ্তার হওয়া আনা খালেদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা জালিয়াতি, প্রথম ডিগ্রি পরিচয় চুরি, তৃতীয়-ডিগ্রি বীমা জালিয়াতি এবং চতুর্থ দফা স্বাস্থ্যসেবা ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৪ হাজার ডলারের জামিন নামায় তিনিও নগদ ২ হাজার ডলারের দিয়ে জামিনে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আগামী ১৭ জানুয়ারি আজিজকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এআর/২০:৫৫/০৮ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jvwGC8
December 09, 2017 at 02:55AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top