ঢাকা, ০১ ডিসেম্বর- সংগীত ভুবনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান। প্রায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে তিনি গান গাইছেন। সমকালীন শিল্পীদের বাইরে গিয়ে নিজস্ব ঢঙ্গে গান করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মনির খান। অডিও বাজারের সেই জৌলুস না থাকলেও চলচ্চিত্রে এখনো তিনি শ্রোতাদের কাছে সেরা পছন্দের তালিকায়। সম্প্রতি তিনি যুক্ত হয়েছেন রাজনীতির সঙ্গেও। আজকের তারকা মনির খানকে নিয়ে লিখেছেন নাহিয়ান ইমন দীর্ঘদিন আপনার নতুন অ্যালবাম নেই বাজারে। কেন? আগের মতো এখন তো আর অ্যালবাম শোনে না মানুষ। তাছাড়া অ্যালবাম বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইরেসি হয়ে যায়। এতে পাইরেসি যারা করেন তারা লাভবান হয়। লোকসান গুণতে হয় যিনি অর্থলগ্নী করেন। পাইরেসি অ্যালবাম বলেন আর চলচ্চিত্র বলেন দুটোই এখন মহামারী। এটাকে প্রতিরোধ না করতে পারলে আমাদের চলচ্চিত্র, অডিও-ভিডিও, সিডি- সব ধ্বংস হয়ে যাবে। সিনেমার গানে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন, সেখানেও আপনি অনিয়মিত আজকাল..... আমি প্রায় ৫০০ সিনেমায় প্লেব্যাক করেছি। তিনবার জাতীয় জলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছি। এখন আগের মতো আর সিনেমা হয় না। আগে একটি সিনেমায় ৬/৮টি গান থাকতো। এখন সিনেমার নামে হয় টেলিফিল্ম। সেখানে ১/২টি গান থাকে। এগুলো নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা করেন। এটা ভালো। নতুনদের জন্য স্থান ছাড়তে হবেই। সারা বছর শুধু মনির খান, অ্যান্ড্রু কিশোররাই গান করবে এ ব্যাপারটা একটা ইন্ডাস্ট্রির জন্য নেতিবাচক। একসময় আমরাও তরুণ ছিলাম, নতুন হিসেবে সুযোগ পেয়েছি। তবে এখন সিনেমায় ভালো গান হচ্ছে কম। তার ফাঁকেই কিছু কাজ করছি এখনো। আগের মতো সিনেমার গান আলোচনায় আসছে না। দুই একটা গান আলোচিত হলেও টিকছে না। আপনার মতে এর কারণ কী? গান স্থায়ী না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ শিল্পীদের অস্থিরতা। রাতারাতি তারকা হওয়ার প্রবণতা, ছোট একটি রুমের মধ্যে নিজেই গান লিখেন, নিজে সুর করেন, নিজে কম্পোজিশন করেন। সেই গান তো একাই শোনতে হবে। ভালো গান করতে হলে, সমন্বয় দরকার, সেটা নেই। গানকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে হলে গানের কথা, সুর, কম্পোজিশন, সু-মধুর গায়কীর সমন্বয় থাকতে হবে। তবেই গান স্থায়ী হবে, মানুষ ওই গান দীর্ঘদিন শুনবে। এর জন্য তরুণদের মজবুত ফাউন্ডেশন দরকার। গানের কথায় সময়কে ধরতে হবে। শ্রুতিমাধুর্য থাকতে হবে। আপনার অ্যালবামে অঞ্জনাকে নিয়ে গান করেছিলেন। আপনার গানের হাত ধরে অঞ্জনাএ দেশের প্রেমিকদের কাছে জনপ্রিয় এক নাম। এ অঞ্জনাটি কে? শুধুই কল্পনা নাকি খানিকটা বেশি কিছু.....? আমার ৪১টি অ্যালবামে অঞ্জনাকে নিয়ে ১টি করে গান করেছি। মানুষের জীবনে প্রেম ভালোবাসা কার নেই? এরকম আমারও ছিল। অঞ্জনা তেমনি একজন। অঞ্জনা এখনও বেঁচে আছে। ও এখন বিদেশ থাকে। আমি তাকে এখনও মনে করি। তাকে খুব মিসও করি। শুনেছি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করবেন। দলীয় মনোনয়নের গ্রিন সিগনাল পেয়েছেন? মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর দুই উপজেলার বিপুলসংখ্যক বিএনপি সমর্থক ও নেতাকর্মীরা আমাকে শিল্পী ও তাদের নেতা হিসেবে পছন্দ করেন। তাদের আহ্বানে রাজনীতিতে এসেছি। তারা চায় আমি নির্বাচন করি। তাছাড়া আমার এলাকায় দলীয় কোনো কোন্দলও নেই। সবাই আমার পক্ষে আছেন। আশা করি নেত্রী সেটি বিবেচনা করবেন এবং আমাকে মনোনয়ন দেবেন। দোয়া রাখবেন সবাই আমার জন্য। আমি দেশের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। এমএ/০৬:১০/০১ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2zVk6WQ
December 02, 2017 at 12:14AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন