ঢাকা, ২০ ডিসেম্বর- বিচ্ছেদের হাওয়া বদল হয়েছে, অপুর সঙ্গে কথা বলে তেমনটাই মনে হলো। কোথায় আছেন? `বাসায়। কল ধরতে বা উত্তর দিতে খুব বেশি সময় নিলেন না। মন কিংবা মেজাজ খারাপ থাকলে সাধারণত তাঁকে ফোনে পাওয়া যায় না। বেশ কয়েকবার কল ও মেসেজ দিয়ে তার নাগাল মেলে। এ যাত্রায় তা হলো না। কাজের প্রসঙ্গ নিয়ে কথা তোলা হলো, আপাতত কোনো কাজ করবেন না। যেসব সিনেমার ঘোষণা হয়েছে। কোনোটাই তার সঙ্গে কথা বলে গণমাধ্যমে জানানো হয়নি বলে সাফ জানিয়ে দিলেন। নতুন কোনো সিনেমায় দেখা না গেলেও ভালো শো হলে অংশ নিবেন। কথায় কথা চলে এলো ডিভোর্স প্রসঙ্গ, প্রথমে এ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও বললেন হাওয়া বদল হয়েছে। শাকিবের মনগলা শুরু করেছে। এই মনগলার দায়িত্ব নিয়েছে শাকিবের বাবা মা স্বয়ং। তারা চাননা এরকম কিছু হোক তার ছেলের জীবনে। তার চেয়েও বড় কথা ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান রয়েছে এ দম্পতির। তিনি স্বীকার করলেন, তালাকনামা পাঠানোর আগে দুই পক্ষের কাছের কয়েকজন মিলে গোপনে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু সেই বৈঠকে সঠিক সুরাহা হয়নি। সেখানে পরিবারের মানুষজনও উপস্থিত ছিলেন না। তাই অপু তার সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য শাকিবের পরিবারের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাহলে কী ডিভোর্স হচ্ছে না শাকিব-অপুর? আরও পড়ুন: আপনাকে বলছি আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, অপুকে আইভী এর আগে ০৭ ডিসেম্বর স্বামী চিত্রনায়ক শাকিব খানের ডিভোর্সের লেটার হাতে পেয়েও খুলে দেখেননি অপু। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমস্যা হতেই পারে। তাই বলে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সে আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠাবে তা ভাবতেও আমার ঘৃণা হচ্ছে। এই ঘৃণা থেকেই ডিভোর্স লেটারটি খুলে দেখার মানসিকতা আমি হারিয়ে ফেলেছি। উল্লেখ: চলতি বছরে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে ও ডিভোর্স নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় তোলপাড় চলছে। চলতি বছরের এপ্রিলে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভে এসে অপু বিশ্বাস দাবি করেন, ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল শাকিব খানের গুলশানের বাসায় তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের জন্য ধর্ম ও নাম পাল্টান অপু বিশ্বাস। ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে অপু বিশ্বাস নিজের নাম রাখেন অপু ইসলাম খান। ওই অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস আরও দাবি করেন, দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজনের উপস্থিতিতে গোপালগঞ্জের এক কাজী তাদের বিয়ে পড়ান। শাকিব খানই ওই কাজীকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছিলেন। ক্যারিয়ারে দোহাই দিয়ে শাকিব তখন পর্যন্ত বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে তাকে বাধ্য করেছিলেন। ওই সময়ে ঢালিউডের এক অভিনেত্রীর সঙ্গে শাকিব খান প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছিলেন বলেও দাবি করেন অপু বিশ্বাস। হুট করেই গণমাধ্যমে এসে অপু বিশ্বাসের এমন দাবির বিষয়ে তখন শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, জয় আমার সন্তান তবে অপুকে আমি বিয়ে করিনি। বিয়ে না করলে সন্তান কীভাবে আসলো? গণমাধ্যমে এ প্রশ্ন যখন তুমুল আলোচনায় তখন শাকিব খান জানান, রাগের মাথায় তিনি এমন কথা বলেছিলেন। তাদের বিয়ে হয়েছে এবং সন্তানও তাদের। ওই ঘটনার পর থেকে শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের একাধিকবার দেখা হলেও কথা হয়নি দুজনের মধ্যে। অবশেষে চলতি মাসে তাদের ডিভোর্সের বিষয়টি আবারও গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়। ডিভোর্সের বিষয়ে শাকিব খানের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম জানান, গেল ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাকিব খান তার চেম্বারে যান। তিনি অপুকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে এই আইনজীবীর কাছে আইনগত সহায়তা চান। এরপর শাকিব খানের পক্ষে আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলামের অফিস থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মেয়রের কার্যালয়, অপু বিশ্বাসের ঢাকার নিকেতনের বাসা এবং বগুড়ার ঠিকানায় এই তালাকের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তালাকের ওই নোটিশে শাকিব খান ৭ লাখ টাকার কাবিনের কথা উল্লেখ করেন যদিও অপু বিশ্বাসের দাবি তাদের বিয়ের কাবিন হয়েছিল ১ কোটি ৭ লাখ টাকার।



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BkHnT1
December 20, 2017 at 06:12AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top