পার্থ, ১৮ ডিসেম্বর- দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ঐতিহাসিক অ্যাশেজ সিরিজ পুনরুদ্ধার করল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দুই ম্যাচ হারায় ঐতিহাসিক লড়াইয়ে টিকে থাকে পার্থে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না সফরকারীদের। তবে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি কুক বাহিনী। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই অ্যাশেজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া। পার্থে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৪১ ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। প্যাট কামিন্সের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ক্রিস ওকস। এই উইকেট পতনের মধ্য দিয়ে ভস্মাধারটা উদ্ধার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইলেক্ট্রনিক বোর্ডে স্পষ্ট করেই লেখা উঠলো- অস্ট্রেলিয়া উদ্ধার করে নিয়েছে ভস্মাধার। তৃতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে এক ইনিংস আর ৪১ রানে হারিয়ে একেক জনকে জড়িয়ে ধরে উল্লাস করতে আর ভুল করেননি স্টিভেন স্মিথরা। যেই স্মিথরা উপমহাদেশ থেকে কিছুদিন আগে নিয়ে গেছেন হারের দুঃসহস্মৃতি! অথচ ২০১৫ সালে এই ইংল্যান্ডই ভস্মাধারটা কেড়ে নিয়েছিল অসিদের কাছ থেকে। ৫ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয়ায় আগেই নিশ্চিত হয়ে গেলো ঐতিহাসিক ভস্মাধার। অথচ গতকালের ঝড়ো আবহাওয়ায় ভিন্ন কিছুর আভাস মিলছিল। তাই শুরু হয়েছিল জল্পনা-কল্পনা, শেষ দিনে জয় পাবে তো স্মিথরা? ম্যাচের চতুর্থ দিনই অ্যাশেজ জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রাখে অস্ট্রেলিয়া। ২৫৯ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৩২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারী ইংল্যান্ড। এরপর ইংলিশদের স্বস্তি দেয় বৃষ্টি। ফলে দিনের খেলা শেষ হয় খানিকটা আগেই। শেষ দিনে ইনিংস পরাজয় এড়াতেই ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ১২৭ রান। চতুর্থ দিনে বৃষ্টির কারণে পঞ্চম দিনে খেলা শুরুতে কিছুটা বিলম্ব হয়। ইংলিশ শিবির হয়তো আবারও বৃষ্টির জন্যই অপেক্ষা করছিল। তবে সব শঙ্কা পেছনে ফেলে দিনের খেলা শুরু হয়। শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন বেয়ারস্টো। আগের দিন যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই বিদায় নেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া এই তারকা। ম্যাচ বাঁচাতে বৃষ্টির সাহায্যের সঙ্গে জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালানের ব্যাটের দিকেও তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। তবে দিনের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই জশ হ্যাজেলউডের বলে উপড়ে যায় বেয়ারস্টোর অফ স্ট্যাম্প, অস্ট্রেলিয়া জয়ের পথে এগিয়ে যায় আরেক ধাপ। এরপর ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। মালান ও মঈন আলীর ৩৯ রানের সপ্তম উইকেট জুটিতে সেই অপেক্ষাটা শুধু একটু দীর্ঘায়িত হয়েছে, এই যা। মঈনকে এলবি করে জুটি ভাঙেন নাথান লায়ন। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মালান দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নিয়েছিলেন ফিফটি। তবে হ্যাজেলউডের শিকারে পরিণত হয়ে ৫৪ রানে থেমেছে তার লড়াই। ক্রিস ওভারটনকে গালিতে উসমান খাজার ক্যাচ বানিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেছেন হ্যাজেলউড। স্টুয়ার্ট ব্রড ও ক্রিস ওকসকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছেন প্যাট কামিন্স। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২১৮ রানে। ৪৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হ্যাজেলউড। ওয়াকায় এটাই ছিল অ্যাশেজের শেষ টেস্ট। বিখ্যাত এই মাঠে শেষ ম্যাচটা জয় দিয়েই রাঙিয়ে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ওয়াকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি অস্ট্রেলিয়ার টানা অষ্টম জয়। এই মাঠে ১৯৭৮ সালে প্রথম এবং একবারই জিততে পেরেছিল ইংল্যান্ড। অথচ প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ৪০৪ রান করার পর কে ভেবেছিল, এই ম্যাচ তারা হারবে! অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্মিথের দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি ও মিচেল মার্শের প্রথম সেঞ্চুরি সব হিসাব পাল্টে দেয়। ৯ উইকেটে ৬৬২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ২৫৯ রানের লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে সেই রানই করতে পারল না ইংল্যান্ড। সূত্র: আরটিভি অনলাইন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BcnSfb
December 19, 2017 at 12:29AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন