জলপাইগুড়ি, ১৫ ডিসেম্বরঃ জলপাইগুড়িতে সহকারি ট্রেজারি অফিসার নাদির শা’র দেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে পাঠানো হল। এদিকে মৃতের শ্যালক তাহিদ শেখের অভিযোগ, একাধিক মহিলার সঙ্গে জামাইবাবুর সম্পর্ক ছিল। এমনকি তিনি আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। তা আমাদের কাউকে জানানো হয়নি। এনিয়ে প্রায়ই সংসারে অশান্তি লেগে থাকত। এসব কারণেই জামাইবাবু অত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাহিদের।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে জলপাইগুড়ির রাজবাড়িপাড়া এলাকার কম্পোজিট কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার হয় নাদির শা’র ঝুলন্ত মৃতদেহ। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নাদির শা’র মৃত্যুর খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় জলপাইগুড়িতে আসেন তাঁর বাবা। তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। তবে, এ বিষয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। এদিকে, স্বামীর মৃত্যু নিয়ে স্ত্রী রাখিদেবীও আপাতত কিছু বলেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে বেশকিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে পুলিশ। প্রশ্ন উঠছে, যদি নাদির শা ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকেন তবে তাঁর দেহ কে নামাল? ঘটনার পর পুলিশকেই বা কেন খবর দেওয়া হল না? যদিও এসব প্রশ্নের উত্তর এখনও পুলিশের কাছে নেই। ফলে, সবমিলিয়ে ট্রেজারি কর্তার এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রহস্য যে ক্রমেই দানা বাঁধছে তা বলাই বাহুল্য।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2Au0eX8
December 15, 2017 at 03:53PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন