সুরমা টাইমস্ ডেস্ক ঃঃ নানা অনিশ্চয়তা, বিক্ষোভ আর উত্তেজনার পর আজ শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। বাদ ফজর আমবয়ানের মাধ্যমে তাবলিগ জামাতের ৫৩তম বার্ষিক এ আয়োজনের মূল কার্যক্রম শুরু হবে। ঢাকাসহ ১৬ জেলার তাবলিগ অনুসারীসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ধর্মপ্রাণ মানুষ এতে অংশ নিচ্ছেন। এরই মধ্যে তুরাগ তীরের ১৬০ একর মাঠে ইজতেমা ময়দানে জমায়েত হয়েছেন মুসল্লিরা। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে প্রথম পর্বের এই আয়োজন। চার দিন বিরতি দিয়ে ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।
এদিকে ইজতেমা শুরুর আগেই ভারতের তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরুব্বি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সা’দের আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে বুধ ও বৃহস্পতিবার বিমানবন্দর, রাজধানীর কাকরাইল ও বায়তুল মোকাররম এলাকায় তাবলিগ ও কওমি অনুসারীদের বিক্ষোভ হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইজতেমা ময়দান ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে মাওলানা সা’দ ইজতেমায় আসছেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এমন খবরে স্বস্তি ফিরে আসে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন এবং এর সাফল্য কামনা করে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ইজতেমা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া মুসল্লি সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২০১১ সাল থেকে দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিদের জন্য দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। কিন্তু এতেও স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১৬ সাল থেকে এই ৩২ জেলার মুসল্লিদের আবার ১৬ জেলা করে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি বছর ১৬ জেলা করে দুই ধাপে ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন এই বিশ্ব ইজতেমায়। অর্থাৎ গত বছর যেসব জেলার মুসল্লি দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছিলেন, ওইসব জেলার মুসল্লিরা এবছর অংশ নিতে পারবেন না। তারা এবার যার যার জেলায় আঞ্চলিক ইজতেমায় অংশ নেবেন। ইজতেমা ময়দানে নির্ধারিত ২৮টি খিত্তায় অবস্থান করবেন এবার আসা সংশ্লিষ্ট জেলার তাবলিগ অনুসারীরা। এর আগে ৬৪ জেলার জন্য তিন দিনের এক পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতো।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজের পরপরই টঙ্গীর তুরাগ তীরে আসা শুরু করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। তীব্র শীত উপেক্ষা করে সওয়াব হাসিলের আশায় তাবলিগ জামাতের বড় এই আয়োজনে আজ দেশ-বিদেশের মুসল্লিরা অংশ নেবেন। ইজতেমার শুরুর দিনই অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাংলাদেশ রেলওয়ে শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যে বেশ কিছু বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা নিয়েছে। বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে এ খবর জানানো হয়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2D1Y0n7
January 12, 2018 at 01:07AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন