ওয়েব ডেস্ক, ৩১ জানুয়ারিঃ আর কয়েক ঘণ্টা বাদেই রাজ্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। আর তার ২৪ ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন দেশের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বিজেপি-তৃণমূলের জমি দখলের লড়াইয়ে বাজেট দু-পক্ষেরই অস্ত্র হতে চলেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। এবছর পঞ্চায়েত ভোট আর আগামী বছরের লোকসভা ভোটের বাধ্যবাধকতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদির মধ্যে কে কতটা জনমোহিনী বাজেট উপহার দেবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। আমজনতার প্রত্যাশায় রয়েছে, পেট্রোপণ্যের দাম কমানো ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, বিশেষ করে চাল-সবজির লাগামছাড়া দামে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনা।
কেন্দ্রীয় সরকারের একদিন আগে রাজ্য বাজেট পেশ করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন, তা আড়ালে আবডালে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিরোধীরাও। পঞ্চায়েত ভোটের আগের তিনি অন্তত পঞ্চায়েতের কাজে ঢালাও বরাদ্দ করবেন, এমনটাই ধরে নিচ্ছেন সকলে। সেই সঙ্গে, পেট্রোপণ্যে রাজ্য সরকারের নেওয়া সেস কিছুটা কমালেও তিনি যে বিজেপিকে অনেকটা কোণঠাসা করে ফেলবেন তাতে সন্দেহ নেই। তবে, রাজ্যের ঘাড়ে থাকা বিপুল ঋণের বোঝা যে তাঁর সবচেয়ে বড়ো দায়, সেকথা তিনি ভালোভাবেই জানেন।
পাশাপাশি নোটবন্দি আর জিএসটি-র সমালোচনায় বিদ্ধ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সামনে এবারের বাজেট বড়ো চ্যালেঞ্জ। রেলের পরিকাঠামো সংস্কার, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামবৃদ্ধি, উন্নয়নের হার অন্তত ৭ শতাংশে উপরে রাখা—সবই তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে আয়করের উর্ধ্বসীমা বাড়ানো আর সবকা বিকাশ-এর স্লোগান সত্যিই সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কপালে ভাঁজ ফেলে রাখছে। কারণ আগামী বছর লোকসভা ভোটের অঙ্ক কষাও শুরু হবে এই বাজেট থেকেই।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2FwyJ1c
January 31, 2018 at 10:55AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন