কেপ টাউন, ১৭ জানুয়ারি- কেপ টাউনে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২০৮ রানের; কিন্তু এই সহজ লক্ষ্যও পাড়ি দিতে পারেনি ভারতের ব্যাটসম্যান ভর্তি টাইটানিক। সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্টস পার্ক স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, ২৮৭ রান বুঝি তাড়া করা খুব সহজ হয়ে যাবে! কিন্তু প্রোটিয়াদের নতুন পেসার লুঙ্গি এনগিদির তোপের মুখে পাকা ফলের মত টাপটপ উইকেট পড়েছে ভারতের। ফলে ২৮৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারত অলআউট হয়েছে ১৫১ রানে। হার মানতে হলো ১৩৫ রানে। ৩ টেস্টের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেঞ্চুরিয়নের উইকেট বরাবরই পেস বান্ধব। কিন্তু এবারের টেস্টের জন্য যে উইকেট তৈরি করা হয়েছে সেটা দেখতে মনে হচ্ছিল অনেকটাই স্পিন বান্ধব। কেউ কেউ তো এমনও বলা শুরু করে দিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে ভারতীয় উইকেটে। অথচ ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুরালি বিজয় আর লোকেশ রাহুলের সাবধানী সূচনা দেখে কেউ কেউ এমনটাও ভেবেছিলেন, এবার বুঝি দক্ষিণ আফ্রিকার হার বাঁচাতে পারবে না কেউ। পেসারদের বলে যেন গতি নেই, ধার নেই। নিচু হয়ে ব্যাট আসছিল বল। কিন্তু ইনিংসের ৮ম ওভারে এসেই খেই হারিয়ে বসে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপ। কাগিসো রাবাদার বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুরালি বিজয়। ভারতের শনির দশা শুরু তখন থেকেই। রাবাদা শুধু পথ দেখালেন, বাকিটা টেনে নিয়ে গেলেন লুঙ্গি এনগিদি। ১২তম ওভারে এসে কেশব মাহারাজের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন লোকেশ রাহুলকে। ১৬তম ওভারে এসে এনগিদির নিচু হয়ে আসা একটি বল ঠেকাতে ব্যর্থ হলেন বিরাট কোহলি। সরাসরি প্যাডে আঘাত হানে বলটি; কিন্তু চাতুরির আশ্রয় নেন কোহলি। দ্রুত বসে গিয়ে পেছনে সরে যান তিনি। যাতে আম্পায়ার এলবির বিষয়টা বুঝতে না পারেন। কিন্তু আম্পায়ার ঠিকই আউট দিয়ে দিলেন। কোহলি চ্যালেঞ্জ জানালেন, ডিআরএসের আশ্রয় নিয়ে। তাতেও জিতলেন না ভারত অধিনায়ক। আউট হয়ে গেলেন মাত্র ৫ রান করে। প্রথম ইনিংসে ১৫৩ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আউট হলেন মাত্র ৫ রান করে। আরও পড়ুন: উড়ন্ত সূচনার পর চাপে শ্রীলঙ্কা চতুর্থ দিন শেষ করেছিল ভারত ৩ উইকেটে ৩৫ রান নিয়ে। পঞ্চমদিন সকালে ব্যাট করতে নামেন পুরাজার আর পার্থিব প্যাটেল। কিন্তু দিনের শুরুতেই আউট হয়ে যান পুজারা। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও রান আউট দুর্ভাগ্যের শিকার হন চেতেশ্বর পুজারা। ১৯ রান করে রানআউট হন তিনি। আসা-যাওয়ার মিছির এরপরই শুরু হয় ভারতের। পার্থিব প্যাটেলও করেন ১৯ রান। সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন রোহিত শর্মা। হার্দিক পান্ডিয়া করেন মাত্র ৬ রান। অশ্বিন ৩, মোহাম্মদ শামি ২৮, ইশান্ত শর্মা ৪ এবং বুমরাহ করেন ২ রান। লুঙ্গি এনগিদি একাই নেন ৬ উইকেট। বাকি ৩ উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। একটি তো রানআউট। প্রথম ইনিংসে এনগিদি নিয়েছিলেন ১ উইকেট। মোট ৭ উইকেট নিয়ে অভিষেক টেস্টটাকেই রঙ্গিন করে তুললেন তিনি। ডেল স্টেইনের ইনজুরির সুবাধে দুর্দান্ত এক পেস বোলারের সন্ধান পেয়ে গেলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সূত্র: জাগো নিউজ আর/০৭:১৪/১৭ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2rgUi3L
January 18, 2018 at 12:41AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top