ঢাকা, ২৫ জানুয়ারি- আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে লঙ্কানদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। আর এই ম্যাচে জয় পেয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলঙ্কার। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৪ ওভারে ৮২ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। আর ৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সহজ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনাল নিশ্চিত করে লঙ্কানরা। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের হারাতে পারে, এই উপলব্ধিটা আমাদের মধ্যে ছিল। কিন্তু তাই বলে এতটা বড় ব্যবধানে হারব, ভাবিনি। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঘিরে ধরেছিল কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, সত্যি কথা বলতে কি, কাল (বুধবার) রাতে বলেন কিংবা আজকেও সবাই যখন একসঙ্গে ছিলাম। কাল রাতে যখন মিটিং হয়েছে। কারো ভেতর এমন দেখিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন থাকার (অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী) সুযোগ ছিল না, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তো না-ই। যেটা বলতে পারেন আমরা খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। আমার কাছে মনে হয় এটা বলাই ঠিক। উল্লেখ্য, ঘরের মাঠে শেষ কয়েক বছর ধরেই দারুণ ছন্দে ছিল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেও ধরে রেখেছিল সেই ধারাবাহিকতা। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। মিরপুরের শেরে বাংলায় টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন বিজয়। ঘরোয়া লিগে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে আবার জাতীয় দলে ফেরা বিজয় টানা চতুর্থ ম্যাচেও ব্যর্থতার বৃত্তেই বন্দি হন। সাজঘরে ফিরে গেছেন কোন রান না করেই। দ্বিতীয় উইকেটে ব্যাট করতে এসে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে সাকিব। তবে খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। সুরঙ্গা লাকমলের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ঠেলে দিয়ে রান নিতে ছুটেন তামিম ইকবাল। একটু দেরিতে সাড়া দিয়ে ছুটেন সাকিব। গুনাথিলাকার থ্রু সরাসরি স্ট্যাম্পে লাগলে দুই চারে ৮ রানেই থামে সাকিবের ইনিংস। সাকিবের পর দ্রুত বিদায় নেন তামিমও। সুরঙ্গা লাকমলের অফ স্টাম্পের বাইরের একটু লাফিয়ে উঠা বল তামিম ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে খানিকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে দুই হাতে ক্যাচ মুঠোয় নেন গুনাথিলাকা। তামিমের বিদায়ের পর দলের বিপদে হাল ধরতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ। ব্যক্তিগত ৭ রানে লাকমলের শর্ট বলে ক্যাচ দিলেন ফাইন লেগে। সহজেই তা তালুবন্দি করেন সীমানায় থাকা একমাত্র ফিল্ডার চামিরাকে। মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর উইকেটে আসেন সাব্বির। আগের দুই ম্যাচে ব্যর্থ সাব্বিরের সামনে আজ সুযোগ ছিল দলের হাল ধরার। তবে আজও ব্যর্থ হন এই তারকা। থিসারা পেরেরার ফুলার ডেলিভারি মিড অনের ওপর দিয়ে ওড়াতে গিয়ে মাদুশানাকাকে ক্যাচ দেন সাব্বির। তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরাটা রাঙাতে পারেননি আবুল হাসান রাজুও। পেরেরার বলে সাজঘরে ফেরার আগে করেন মাত্র ৭ রান। আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শোচনীয় পরাজয়ের ৪ কারণ জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহীম। ঈদলের বিপদের সময়ে বাজে শটে দুশমন্থ চামিরার বলে মেন্ডিসকে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে নাসির (৩), মাশরাফি (১) ও রুবেল (০) কেউ দাঁড়াতে না পারলে মাত্র ৮২ রানেই থামে টাইগারদের ইনিংস। তথ্যসূত্র: বিডি২৪লাইভ এআর/২০:৪৮/২৫ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2nbzDts
January 26, 2018 at 02:47AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top