সোহরাওয়ার্দীতে অনুমতি না পেলে কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না পেলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি চাইবে বিএনপি।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতে চাই-সরকার বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে। সমাবেশের অনুমতি দিয়ে বিএনপিকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ করে দেবে। যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী ৫ জানুয়ারি ২০১৮, সমাবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ আহ্বান জানান।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। এখনো বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম সেখানে ৫ জানুয়ারি একটি অখ্যাত ও অজানা একটি দলকে নাকি অনেক আগেই জনসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিএনপির মতো একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে যে দলটি জনগণের ভোটে বার বার ক্ষমতায় থেকেছে, যে দলটি বাংলাদেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করে, যে দলটির একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে সে দলটির আবেদনকে পাশ কাটিয়ে অনেক আগেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ যে কথা বলছে সেটি সরকারের হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ। এটি সরকারের হিংসাপরায়ণ নীতির একটি অংশ।

রিজভী আহমেদ আরো বলেন, বরাবরের মতো আজ আবারো হাইকোর্টের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে নেতাদের থেকে আলাদা করতে পরিকল্পিতভাবে বার বার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের নির্দেশে এ হামলা চালাচ্ছে পুলিশ। আজকে পুলিশি হামলায় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আহত হয়েছে এবং আটক করা হয়েছে কয়েকজন নেতাকর্মীকে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা মো. সালাহউদ্দিন খান ছোটন, অন্তু হাসান, তায়িফ সাপু এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা রিয়াজ ও উজ্জ্বলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আমি দলের পক্ষ থেকে পুলিশ কর্তৃক আজ নেতাকর্মীদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। হামলায় আহত নেতাকর্মীদের সুস্থতা কামনা করছি এবং গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।

রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এবারে ইংরেজি নতুন বছর শুরু হয়েছে সরকারি বাহিনী কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। ১ জানুয়ারিতেই যুবদলসহ তিনজন যুবক বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। দোষী পুলিশদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2CzAZqB

January 04, 2018 at 07:06AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top