কানাইঘাটে উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরক ধ্বংস

নিজস্ব প্রতিনিধি:: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বড়বন্দ ১ম খন্ড গ্রামের আব্দুর রহমানের পাকা বসত ঘরের কলাপসিবল গেইটের পাশ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিস্ফোরক দ্রব্য ৫টি পাওয়ার জেল ও ১০টি ডেটোনেটর উদ্ধার করা হয়েছে।

গত রোববার (০৭ই জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুর রহমান তার বাড়ীতে এসে দেখতে পান কলাপসিবল গেইটের পাশে কালো পলিথিন মোড়ানে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগের ভেতরে রাখা দ্রব্য বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য সন্দেহ হলে তিনি সাথে সাথে কানাইঘাট থানা পুলিশকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করলে তাৎক্ষণিক থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার এস.আই স্বপন চন্দ্র সরকার একদল পুলিশ নিয়ে আব্দুর রহমানের বাড়ীতে যান।

পুলিশ বিস্ফোরক জাতীয় দ্রব্য দেখে বিষয়টি সনাক্ত করার জন্য র‌্যাব-৯ এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে রাতে র‌্যাব-৯ এর বোমা ডিসপোজাল টিমের ডিআইও নজির আহমদের নেতৃত্বে ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তারা পলিথিন ব্যাগে রক্ষিত দ্রব্যাদি বিস্ফোরক দ্রব্য হিসাবে সনাক্ত করে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

গতকাল সোমবার (০৮ই জানুয়ারি) দুপুরে কানাইঘাট থানার অদূরে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিমের কর্মকর্তারা পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ৫টি পাওয়ার জেল ও ১০টি ডেটোনেটর ধ্বংস করেন।

এদিকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনাস্থল গতকাল সোমবার পরিদর্শন করেছেন সিলেট উত্তর সার্কেলের এডিশনাল পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খাঁন।

তিনি বাড়ীর মালিক সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ ধরনের কোন বিস্ফোরক জাতীয় পরিত্যক্ত জিনিসপত্র দেখামাত্র পুলিশকে অবহিত করার জন্য বলেন এবং এলাকার কোন দুষ্কৃতিকারী চক্র এ ধরনের বিস্ফোরক আমদানির সাথে জড়িত থাকলে তাদের তথ্য পুলিশকে দেয়ার জন্য বলেন।

থানার ওসি (তদন্ত) নুনু মিয়া জানিয়েছেন, পরিত্যক্ত অবস্থায় আব্দুর রহমানের বাড়ী থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক র‌্যাব ধ্বংস করেছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির সুরইঘাট এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য সহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হওয়া এসব বিস্ফোরক দ্রব্য কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ক্যালেরিয়া কয়লা খনি ও পাহাড় কাটার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। একটি চক্র এসব বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাই পথে বাংলাদেশে মাঝে মধ্যে নিয়ে আসে।

শক্তিশালী এসব বিস্ফোরক দ্রব্য জঙ্গি ও নাশকতা মূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হয় বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করেন। চোরাইপথে বিস্ফোরক আমদানির সাথে জড়িত গড ফাদারদের সনাক্ত করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরি প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2CK17fs

January 09, 2018 at 09:42PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top