ফরহাদ মজহার অপহরণ,পুনরায় তদন্তের জন্য মামলা

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা হয়েছে তা পুনরায় তদন্তের জন্য রিভিশন মামলা করেছেন তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লার আদালতে এ রিভিশন মামলা হয়। আদালত আবেদনটি শুনানির জন্য আগামী ২২শে মার্চ দিন ধার্য করেন।

ফরিদা আক্তারের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফরহাদ মজহারের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে তার সত্যতা না পেয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। আমরা আগামী ৭ই ডিসেম্বর প্রতিবেদনের উপর নারাজি দেয়ার আবেদন করি আদালতে। আদালত সেদিন সকালে আবেদন মঞ্জুর করেন কিন্তু বিকেলে আবেদনটি নামঞ্জুর করেন। তাই আমরা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটির পুনরায় তদন্তের জন্য একটি রিভিশন মামলা করেছি।

এর আগে গত ৩১শে ডিসেম্বর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করায় কবি-প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শুব্রত ঘোষ শুভ। প্রসিকিউশন মামলা আমলে নিয়ে তাদের আগামী ৩০শে জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৮শে ডিসেম্বর ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আদাবর থানার নন-জিআর শাখায় এ প্রসিকিউশন মামলাটি ডাকযোগে পাঠান মামলার বাদী ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম। তিনি ফরহাদ মজহার ও ফরিদা আক্তারকে পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

গত ৭ই ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রসিকিউশন মামলা করার জন্য অনুমতি প্রদান করেন।

গত ৩১শে অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুল ইসলাম আদালতে কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি করার অভিযোগে যে মামলা করা হয়েছিল সেটিতে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

অন্যদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ও হয়রানির অভিযোগ দণ্ডবিধির ২১১ ও ১০৯ ধারায় ফরহাদ মজহার ও তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলা দায়েরের অনুমতি চান তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ৩রা জুলাই ভোরে রাজধানীর শ্যামলীর রিং রোডের ১নং হক গার্ডেনের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। পরে স্ত্রীকে নিজের মোবাইল ফোনে জানান, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তাকে মেরেও ফেলা হতে পারে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয়বার কল করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।

নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নিয়ে মোবাইল ট্র্যাকিং করে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় এবং ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের অভয়নগরে হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজের ঘটনায় ওই দিন রাতেই স্ত্রী ফরিদা আক্তার বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলা নং- ০৪। এর আগে তিনি জিডি করেছিলেন। জিডি নং- ১০১।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2DbNG9j

January 09, 2018 at 12:24AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top