বিশেষ প্রতিনিধি:: নতুন বছরের প্রথম দিনে খুন দিয়ে কর্মসূচি শুরু করলো সিলেট ছাত্রদল। সোমবার দেশব্যাপি ছিল ছাত্রদলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা বা কেক কেটে দিনটি পালন করা। সেই লক্ষে শোভাযাত্রা করতে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে জড়ো হয় সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদল নেতা কর্মীরা।
কিন্তু তাদের সেই আনন্দ শোভাযাত্রাটি মুহুর্তেই রুপ নেয় বিষাদের শোর। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে নিজ দলের ক্যাডারদের ছুরিকাঘাতে খুন হন নগর ছাত্রদল নেতা শিমু।
যার কারণে বছরের শুরুতেই এমন হত্যাকান্ড সিলেটবাসির জন্য অভিশাপ হিসেবে বিবেছিত করছেন অনেকেই। সিলেটের একাধিক সচেতন নগরবাসির ধারণা, বছরের শুরুতেই যদি সিলেট ছাত্রদল এভাবে খুন করে সিলেট’র রাজপথ রক্তে রঙ্গিত করে। তাহলে সারা বছরই যাবে তাদের গ্রুপিং বিরোধ আর সংর্ঘষে। তাই সচেতন সিলেটবাসির দাবি হানাহানি, খুন পরিহার করে দলীয় কার্যক্রম যেন পরিচালনা করে সকল দলের নেতাকর্মীরা।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি ছাত্রদল এর ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নিজ দলের ক্যাডারদের ছুরিকাঘাতে সিলেটে এক ছাত্রদল নেতা খুন হন। নিহত আবুল হাসনাত শিমু সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার বিকালে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্টে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয় শিমুকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিমু নগরের আরামবাগ এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে। তিনি ১৯ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে সোমবার বিকাল ৪টায় শোভাযাত্রা বের করে ছাত্রদল। এসময় শোভাযাত্রার সামনে দাঁড়ানো নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে লিপ্ত হয়। এসময় ছাত্রদল নেতা শিমুর বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
পরে অন্যান্য ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তাকে দ্রুত ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসমানী হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম শিমু খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
প্রত্যদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলে মিছিলে অংশ নেয় শিমু। এ সময় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে মারামারি শুরু হলে তার বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌসুল হোসেন বলেন, ছাত্রদলের মিছিলে মারামারি চলাকালে নিজ দলের কর্মীর ছুরিকাঘাতে শিমু নিহত হয়। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zXiUxu
January 01, 2018 at 07:51PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন