কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি- ইসরায়েলের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ারের নামাঙ্কিত দি গোল্ডা মেয়ার মাউন্ট কারমেল ইন্টরন্যাশনাল ট্রেনিং সেন্টার (এমসিটিসি)-এর পক্ষে সেদেশের একটি অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে আপত্তি জানালেন তারই মন্ত্রিসভার সদস্য সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওই সংস্থার আমন্ত্রণে সেদেশের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে মমতা যাতে যোগ না দেন সেব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী-কে অনুরোধ জানাবেন সিদ্দিকুল্লা। জমিয়েত উলেমা ই হিন্দ-এর পশ্চিমবঙ্গের সভাপতি এবং রাজ্যটির গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মঙ্গলবার বলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি দায়িত্বশীল হন তবে ইসরায়েলে ওই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন না। আসলে আমি তাঁকে অনুরোধ জানাবো ওই অনুষ্ঠানে অংশ না নিতে। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশ্বজুড়ে কাজ করা ইজরায়েলের এমসিটিসির তরফে সেদেশে ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর ওমেন লিডার্স অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রতিবছর এই সংস্থাটি রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অসামান্য বিশ্বনন্দিত নারী নেত্রীদের এই সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কন্যাশ্রী প্রকল্পের রূপকার মমতা ব্যানার্জিকে সেই সম্মান দিতে চেয়ে নবান্নে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। তবে আমন্ত্রণ পত্র পেলেও বছর ভর সরকারি নানা কাজে ব্যস্ততা থাকা মমতা সেখানে আদৌ যেতে পারবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিদ্দিকুল্লার অভিমত ইসরায়েলের সঙ্গে ভারতের কোন বোঝাপড়া থাকতে পারে না এবং এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার যদি কোন কাজ করে তবে তার দলের তরফে সেটার বিরোধিতা করা হবে। তিনি বলেন ইসরায়েল গোটা বিশ্বে শান্তির পরিবেশ দূষিত করেছে। সেখানে নরেন্দ্র মোদি যে কাজ করছেন সেটা কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসরায়েলের সাথে ভারতের কোন যোগাযোগ আমরা মেনে নেবো না। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে যে কাজ করেছেন মোদিও ট্রাম্পের সেই পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন। দুই দিন আগে দিল্লি বিমানবন্দরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির আলিঙ্গন নিয়েও তোপ দেগেছেন ওই মুসলিম নেতা। তিনি বলে নেতানিয়াহুর সাথে মোদি কোলাকুলি করে মুসলিম সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদির এই আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আরও পড়ুন: মমতার রাজ্যে হবে অশোক লে ল্যান্ড অটো মোবাইল কারখানা! জমিয়তে উলেমায় হিন্দএর সভাপতি হয়েও ২০১৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন সিদ্ধিকুল্লা। একজন কট্টর মুসলিম নেতা হিসাবে পরিচিত সিদ্দিকুল্লা ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে রাজ্য থেকে উৎখাত করতে মমতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। ফলে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের অন্যতম মুখ ছিলেন সিদ্ধিকুল্লা। তথ্যসূত্র: বিডিপ্রতিদিন এআর/২৩:১৮/১৬ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2FKR7Vl
January 17, 2018 at 05:18AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন