কুয়ালালামপুর, ১০ ফেব্রুয়ারি- প্রাণঘাতী জিকা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যখন উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ভুগছে ঠিক তখনই এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার পন্থা উদ্ভাবন করে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে মালয়েশিয়ার বুক অব রেকর্ডসে নাম লেখালেন প্রবাসী তরুণ বিজ্ঞানী এম এ হামিদ। মালয়েশিয়ায় সবচেয়ে বড় মশা মারার যন্ত্র তৈরির স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সন্তান হামিদ এ রেকর্ড গড়েন। শুক্রবার বিকেলে কুয়ালালামপুরের চেরাসে টুফ্যাম ব্রাদার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে `মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস` কতৃপক্ষের জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তা নূর আশিকিনী রামলি এম এ হামিদের হাতে রেকর্ডসের সনদ হস্তান্তর করেন। এ সময় যন্ত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজক টুফ্যাম ব্রাদার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রতন সেন ও টুফ্যাম ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিনহাজ উদ্দিন মিরান, বিকে সুরিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফিদা রামলি উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞানী এম এ হামিদ জিকা ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ যে কোনো প্রাণঘাতী জীবাণুবাহী মশাকে সহজেই নিধন করার যন্ত্র আবিষ্কার করে দেশে-বিদেশে আলোচিত হয়েছেন। গত নভেম্বরে তিনি মালয়েশিয়ার কুয়ালামপুরে একটি সেমিনারের মাধ্যমে তার উদ্ভাবিত যন্ত্র এইচইসি মসকিউটো কিলার মালয়েশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাজারজাত করার ঘোষণা দেন। আরও খবর: পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশির কারাদণ্ড সম্প্রতি, তিনি মালয়েশিয়ার গিনেস খ্যাত মালেয়শিয়া বুক অফ রেকর্ডস এ আবেদন করেন তার উদ্ভাবিত যন্ত্র এইচইসি মসকিউটো কিলার প্রদর্শনের। তার আবেদনের প্রেক্ষিতেই মালেয়শিয়া বুক অফ রেকর্ডস বিগেস্ট ইকো-ফ্রেন্ডলি মসকিটো ট্রাপ শিরোনামে তার উদ্ভাবিত যন্ত্রটি প্রদর্শনের অনুমতি পায়। সাধারণত জিকা ভাইরাস, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো ভয়ানক ভাইরাস মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মশার মাধ্যমে। এই মশা নিধনে এতোদিন বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যদেশে তরল ওষুধ, কয়েল, বৈদ্যুতিক জালসহ নানা উপকরণ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। যার ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বিজ্ঞানী ও গবেষক হামিদ তার উদ্ভাবিত যন্ত্রকে জনস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ বলে দাবি করেন। তার উদ্ভাবিত নতুন মশক নিধন যন্ত্রটি গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পায়। নিজের নামের সাথে মিল রেখে নতুন এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে এইচইসি মসকিটো কিলার (হামিদ ইলেকট্রো-কেমিক্যাল মসকিটো কিলার)। মালয়েশিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের দেওয়া সনদে বিজ্ঞানী এম এ হামিদের তৈরি মশা নিধক এই বৈদ্যুতিক যন্ত্রটি ৬ দশমিক ৩৪ মিটার উচু ও ৩ দশমিক শুন্য ৪ মিটার গোলাকার। যেটি মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মশা মারার যন্ত্র। সূত্র: একুশে টিভি আর/১০:১৪/১০ ফেব্রুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2CcwD4y
February 11, 2018 at 04:31AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top