তিনি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইর খামার গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী। তার ৭ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
ভিকটিমের পিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার বিকেলে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠায়।
নাগেশ্বরী থানার ওসি জাকিরুল ইসলাম পরিবর্তন ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে বিকেলে লাশের সুরত হাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সুফিয়ার পরিবারের অভিযোগের বরাত দিয়ে থানা সূ্ত্র জানায়, উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব সোনাইর খামার গ্রামের মর্তুজা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনের (৩২) সাথে ১২ বছর আগে একই উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কুটিনাওডাঙ্গা তালেবের হাট ছিটটারী গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের মেয়ে সুফিয়া বেগমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
এসময় ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আনোয়ার হোসেন ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে সুফিয়া বেগমকে বিভিন্নভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালাতো।
এরই জেরে গত ১০/১২ দিন আগে আনোয়ার হোসেন স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে।
তাকে পরবর্তীতে চিকিৎসা করা হলেও গৃহবধূ সুফিয়ার শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। এ অবস্থায় ১ ফেব্রুয়ারি তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করা হলে পথিমধ্যেই শুক্রবার দুপুরে সুফিয়ার মৃত্যু হয়।
সুফিয়ার ভাই রফিকুল ইসলাম পরিবর্তন ডটকমকে জানান, আমার বোনকে তার স্বামী আনোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন প্রায় নির্যাতন করতো। আমার বোনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার পরও তারা ভালোভাবে চিকিৎসা করেনি। আমার বোন আজ তাদের এই নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেল।
সুফিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে যৌতক দাবির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে দু’চারটি চর দিয়েছি। সে মারপিটের কারণে মারাযায়নি। সুফিয়া অসুস্থ ছিলো। একই দাবি করেন তার বাবা মর্তুজা মিয়াও।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2s6vdbY
February 03, 2018 at 01:30PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন