নিজস্ব সংবাদদাতা:: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৯১ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি (১লা ফাল্গুন) প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। ৩২০ একর জায়গায় ৩টি বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে সিলেটের আখালিয়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। আজ গৌরবোজ্জ্বল ২৭তম বছর পেরিয়ে ২৮তম বছরে পদার্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনে দেশে বিদেশে সুনাম কুঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে (আইসিটি) অবদান স্বরূপ গত বছর দেশ সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ২০১৬ সালে স্পেনের ‘সিমাগো রিসার্চ গ্রুপ’ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্কপাস’ থেকে প্রকাশিত এক তালিকায় বিশ্বে সম্মিলিত র্যাংকিংয়ে ৬১০তম এবং দেশে প্রথম অবস্থানে ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়। সিলেটে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি স্থাপন করে শাবি। গত ৩০শে জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে শাবি ছাত্রীদের জন্য শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রী হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক এগিয়ে।
দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক কিছু প্রথম আবিষ্কার এবং চালুর ক্ষেত্রে শাবি’র অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম সেমিস্টার পদ্ধতি চালু, ক্যাম্পাসের প্রতিটি জায়গাতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মোবাইল ফোনে ভর্তি কার্যক্রম উদ্ভাবন ও শুরু, সারা ক্যাম্পাসে ওয়াইফাই সেবা চালু, প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন উদ্ভাবন, বাংলা ভাষার কথা বলা সামাজিক রোবট ‘রিবো’ তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ডোমেইনে ই-মেইল চালু, যানবাহন ট্র্যাকিং ডিভাইস উদ্ভাবন, চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) উদ্ভাবন, অনলাইনে ট্রান্সক্রিপ্ট উত্তোলনের সুবিধা চালুসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষা ও গবেষণায় শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, শাবিকে সেশনজটমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নেয়া, সঠিকভাবে খাতা মনিটরিং ও নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ করার উপর জোর দেয়া হবে। সেই সাথে একাডেমিক ক্যালেন্ডার সুষ্ঠুভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের যে কোন দায়িত্বহীন কর্মকান্ডের জন্য জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, উন্নত ল্যাবরেটরি নিশ্চিত করাসহ গবেষণাকার্যে বাজেট বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা অবস্থানটা ধরে রাখার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হবে জানান তিনি।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2su8VBk
February 13, 2018 at 07:19PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.