কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিলেন। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাসতের সেই বৈঠকেই এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা। হাওড়ায় দ্বিতীয় হুগলী সেতুতে গাড়ি পরীক্ষা থেকে শুরু করে সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ড হারবারে গুলি চালানোর ঘটনা। দেশের সেনাবাহিনীর নানাবিধ কাজে রুষ্ট হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কখনও মামলা করার কথা শোনা যায়নি তাঁর মুখে। কিন্তু এখন কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? উত্তর বারাকপুর পুরসভার অধিকাংশ এলাকা রয়েছে সেনাবাহিনীর দখলে। সেই সকল এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ সবই করে পুরসভা। একইসঙ্গে অন্যান্য একগুচ্ছ পরিষেবাও প্রদান করে উত্তর বারাকপুর পুরসভা। এই সকল নানাবিধ সুবিধা পেলেও কোনও পরিষেবা কর সেনার পক্ষ থেকে দেওয়া হয় না। এমনই অভিযোগ করেছেন উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গরু পাচার বন্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ নির্দেশ মমতার মলয় বাবুর অভিযোগ শুনেই মুখ্যমন্ত্রী দেশের সেনাবাহিনীর উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, সেনারা আবার কারও কথা শোনে না। যা খুশি তাই করে। এরপরেই উত্তর বারাকপুর পুরসভার চেয়রাম্যন জানান যে সেনাবাহিনীকে পুর কর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেনাবাহিনীর জন্য পরিষেবা দিলে কর প্রাপ্য পুরসভার। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ-র কথা শোনা মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এটা তো তাহলে আদালত অবমাননা। মামলা করতে হবে। উক্ত প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। সমগ্র বিষয়টি তাঁকে দেখার জন্য নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্যসূত্র: কলকাতা২৪৭ এআর/০৯:৪৫/২৮ ফেব্রুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2F1GOeH
February 28, 2018 at 03:46PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন