সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ আগামী ৮ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির জন্য সকল প্রস্তুতি নেতাকর্মীদের রাখতে বললেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। একই সাথে নেতাকর্মীদের যতই গ্রেফতার করা হোক না কেন রাজপথে থাকতেই হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে শুক্রবার দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং গণ-গ্রেফতার বন্ধের দাবিতে এক প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ফোরাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলাল বলেন, মানুষের অন্তর, বিবেক ও অনুভূতিকে কারাগারে পাঠানো যায় না। হাত-পা চললে, মুখ চললে, সংকল্প চললে, সব কিছুর পেছনে থাকে অনুভূতি। এটাকে শৃঙ্খলিত করা যায় না।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি যদি কোনো ধরনের রায় দিয়ে একতরফা নির্বাচনের পথ প্রশস্ত ও সুন্দর করার কোনো পরিকল্পনা করা হয়, নেতৃত্বে আমাদের না পান, একটু পরে যদি শোনেন যে, এখান থেকে বেড়িয়ে আমি কারাগারে চলে গেছি, সালাম চলে গেছে, রহমতুল্লাহ চলে গেছে তাহলে পরবর্তী দায়িত্ব আপনাদের। ৮ ফেব্রুয়ারির সকল প্রস্তুতি আমাদের গ্রহণ করে রাখতে হবে, যদি রায়ের তারিখ পরিবর্তিত হয়, তাহলে পরের তারিখেও একই কর্মসূচি ঘোষণা করতে হবে এবং এরপর থেকে রাজপথে আমাদেরকে থাকতেই হবে। যতই গ্রেফতার করার হোক, যা করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘৮, ৯, ১০ কিংবা ২৫, ২৬ তারিখ ব্যাপার না, ব্যাপারটা হচ্ছে কবে অসৎ উদ্দেশ্যে রায় ঘোষণা করে বেগম খালেদা জিয়াকে এই বড় কারাগার থেকে ছোট কারাগারে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। যে দিন যাবে সেই দিনই যার যেখানে দায়িত্ব, কেউ থাকুক বা না থাকুক তাকে সেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আলাল আরও বলেন, ‘হিসাবটা অত্যন্ত স্পষ্ট, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করা এই সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়, এটা প্রমাণিত। দেশের মধ্যে বিক্ষুব্ধতা, দেশের বাইরে থেকেও অন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। তাই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন আর করা সম্ভব না, ক্ষমতায় আসাও সম্ভব নয়। এতো ভালো ভালো কাজ-কর্ম তারা (বর্তমান সরকার) করেছেন। আর এর পথে বাধা হচ্ছে বিএনপি, বেগম খালেদা জিয়া এবং আমাদের সাহসী নেতা-কর্মীরা। এদেরকে বড় কারাগার থেকে ছোট কারাগারে নিতে হবে। এটাই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।’
সব টাকা থাকার পরও বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সম্পূর্ণ অসত্য ও সাজানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দুটি মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের জমি রয়েছে, এর নামে সেখানে সাইনবোর্ড রয়েছে, বগুড়ায় কার্যক্রম চলছে, যে জমি ক্রয় করা হয়েছে তার পাশে মসজিদ এবং মাদ্রাসাভিত্তিক এতিমদের জন্য কাজ চলছে। ব্যাংকের টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ গুণের বেশি হয়েছে, তারপরও আত্মসাতের মামলা।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2nBAItR
February 02, 2018 at 03:21PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন